বেলারুশের মেয়ে কীভাবে ছাদবাগান গড়ে তুললেন চট্টগ্রামে
![বেলারুশের মেয়ে কীভাবে ছাদবাগান গড়ে তুললেন চট্টগ্রামে বেলারুশের মেয়ে কীভাবে ছাদবাগান গড়ে তুললেন চট্টগ্রামে](https://www.dainikgaibandha.com/media/imgAll/2023September/Screenshot_30-2309121217.jpg)
সদর দরজার ওপর ঝুঁকে আছে হলুদ চন্দ্রপ্রভা ফুলের ঝাড়। একপাশে শ্বেতকাঞ্চন, নয়নতারা, ফুটি টগরসহ নানা রকম পাতাবাহার গাছে সবুজ হয়ে আছে প্রবেশপথ। সদর পেরিয়ে মোজাইকের সিঁড়ি।
সেটা বেয়ে আমরা সোজা পৌঁছালাম চারতলা বাড়ির ছাদে। দরজা খুলতেই মিষ্টি হাওয়ার সঙ্গে নাকে ভেসে এল বেলি ফুলের সুবাস। ছাদজুড়েই পরিপাটি বাগান। কয়েক রকমের জবা, দুপুরমণি, মধুমঞ্জরী, রঙ্গন, ঘাসফুল, কলাবতীসহ হরেক রকম ফুল ফুটে আছে। কিন্তু সাধারণত শখের বাগানে যে ধরনের ফুলের গাছ দেখা যায়, তেমন ফুল নেই, সবই বুনো বা জংলি।
গিয়েছিলাম চট্টগ্রাম নগরীর হিলভিউ আবাসিক এলাকায় স্থপতি আলা ইমরান ও আশিক ইমরান দম্পতির শখের ছাদবাগান দেখতে। বিকেলের রোদ তখন ঘন হয়ে উঠেছে। বাগানজুড়ে অনাদরের জংলি গাছপালার এত সমাদর দেখে কিছুটা অবাকই হতে হলো।
জংলি গাছপালা দিয়ে বাগান করার কারণ জানালেন আলা ইমরান। বললেন, ‘আমরা সবাই সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজেদের কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকি। করোনার বন্ধে যখন ছাদবাগান করার কথা মনে হলো, তখন থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল, এমন সব গাছ লাগানো, যাদের বেশি যত্ন নিতে হবে না। শৌখিন গাছপালা দুর্বল হয়, একটুতেই মরে যায়। তাই আমরা ছাদবাগানে এমন গাছ লাগিয়েছি, যাদের প্রাণশক্তি ভালো, টিকে থাকবে। আমার স্বামীরও নানা রকম জংলি পাতাবাহার পছন্দ। যখন যেখানে যাই, সেখানকার ঝোপজঙ্গলে যেটা দেখতে ভালো লাগে, তা নিয়ে আসি। গ্রাম থেকেও অনেক গাছ এনেছি। এই বাগানের অধিকাংশ গাছই এভাবে সংগ্রহ করা।’
ছাদবাগান ঘুরে তাঁর কথার চাক্ষুষ প্রমাণও মিলল। ছাদের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে বেশ খানিকটা জায়গা নিয়ে লোহার চারকোনা ফ্রেম। ফ্রেমের চারদিকে অপরাজিতা, গুলঞ্চ, পানসহ বুনো লতাজাতীয় গাছপালা দিয়ে সবুজ দেয়াল তৈরি করা হয়েছে। মাথার ওপর টিনের ছাউনি। নিচে কাচের টেবিল আর কয়েকটি চেয়ার। বৃষ্টি উপভোগের চমৎকার ব্যবস্থা। এক কোণে সিমেন্টের বড় গামলায় পদ্মপাতার দেখাও মিলল। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আমাদের সব দেখাচ্ছিলেন আলা ইমরান।
দৈনিক গাইবান্ধা