শনিবার   ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ || ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

প্রকাশিত : ১০:৫৭, ২৩ মার্চ ২০২৩

হাঁস পালনে ৩ মাসে আয় লাখ টাকা

হাঁস পালনে ৩ মাসে আয় লাখ টাকা

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার পালশা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) ময়নুল ইসলাম মন্টু। জনপ্রতিনিধিত্ব শেষে বসে না থেকে বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় শুরু করেছেন হাঁস পালন। গ্রামীণ পরিবেশে ১ হাজার হাঁস পালন করে ৩ মাস পর তার আয় লাখ টাকার ওপরে। বর্তমানে তার পৃথক দুইটি খামারে ৫ হাজার হাঁস রয়েছে। এছাড়াও তার খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে এলাকার আরও ৪ জন শ্রমিকের।

হাঁস পালনের বিষয়ে খামারি মন্টু মেম্বার বলেন, আমি অল্প সময়েই সফলতা অর্জন করেছি। আমার ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। আগামী দিনে আরও বড় পরিসরে হাঁস পালন শুরু করব।

হাঁস পালনে মন্টু মেম্বারের সফল হবার গল্পে ওই এলাকার অনেকেই অল্প পুঁজিতে হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। উদ্যোক্তা হিসেবে তারাও উপার্জন করছে লাখ লাখ টাকা। অনেক পোল্ট্রি মুরগি পালনকারীও অধিক মুনাফার আশায় মুরগি পালন ছেড়ে মুরগির শেডে হাঁস পালন শুরু করেছেন।

মন্টু মেম্বারকে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া এক সফল খামারি মনোয়ার হোসেন বলেন, আমি আগে ব্রয়লার মুরগি পালন করতাম। তাতে আমি দুইবার মোটা অঙ্কের লোকসানে পড়েছি। তবে এবার হাঁস পালনে আমি অবিশ্বাস্যভাবে লাভবান হয়েছি।

এসব খামারিরা পাশের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে ১৫ থেকে ২৫ টাকা দরে একদিনের হাঁসের ছানা নিয়ে আসেন। গ্রামীণ পরিবেশে টানা ৭০ দিন পালন করার পর এসব হাঁস বাজারজাত করার উপযোগী হয়। সে সময় হাঁসগুলো ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পিস দরে পাইকাররা কিনে নিয়ে যায়।

খামারে বাজার থেকে কেনা খাদ্য খাওয়ানোর পাশাপাশি বাড়ির পাশের ধানী জমি ও পুকুর-বিলে চড়ানো হচ্ছে এসব হাঁস। ফলে বাজার থেকে কেনা খাদ্য বেশি খাওয়ানোর প্রয়োজন হচ্ছে না। প্রাকৃতিক খাবার খেয়েই বেড়ে উঠছে হাঁসগুলো। ফলে হাঁস পালনে খরচের পরিমাণ একতৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লাভের হার।

পাশাপাশি হাঁসের তেমন কোনো জটিল রোগ না থাকলেও, হাঁস বাজারজাত করা পর্যন্ত ৭০ দিনে প্লেগ ও ডাক কলেরা রোগের দুইটি ভ্যাকসিন প্রদান করছেন খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিল্পব কুমার দে বলেন, অন্যান্য পশু-পাখি পালনের চেয়ে বর্তমান সময়ে হাঁস পালন করে অধিক মুনাফা পাওয়া সম্ভব। প্রতিনিয়ত তরুণ-যুবকরা হাঁস পালনের দিকে ঝুঁকছেন। আমরা খামারিদের বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন প্রদানসহ সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য বলছে, ঘোড়াঘাট উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ৬১টি হাঁসের খামার রয়েছে। এসব খামারে প্রায় লক্ষাধিক হাঁসের পালন হচ্ছে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ