শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রকাশিত : ০৫:৩৩, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করে যে অনুভূতি ব্যক্ত করলেন জার্মান সুন্দরী

বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করে যে অনুভূতি ব্যক্ত করলেন জার্মান সুন্দরী

ভালোবাসার টানে জার্মানি থেকে গোপালগঞ্জে এসেছেন জেনিফার স্ট্রায়াস নামে এক তরুণী। এরপর প্রেমিক চয়ন ইসলামকে বিয়ে করেছেন। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে গোপালগঞ্জের একটি আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। জার্মানির ওই তরুণী গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে নামে। সেখানে তার প্রেমিক চয়ন ইসলাম ও তার স্বজনরা তাকে স্বাগত জানান এবং রাতেই তারা জেনিফারকে নিয়ে গোপালগঞ্জ শহরে চলে আসেন।

ভিনদেশি বধূ পেয়ে খুশি পরিবারের সদস্যরা, বইছে খুশির বন্যা। নববধূকে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের আনন্দঘন মুহূর্ত কাটছে। প্রেমিক চয়নের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরা গ্রামে। তার বাবা ইতালি প্রবাসী রবিউল ইসলাম। চয়ন কিছুদিন ইতালি থাকার পর জার্মানিতে চলে যান। প্রায় পাঁচ বছর আগে জার্মান ভাষা শিখতে একটি শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হন তিনি। সেখানে পরিচয় হয় জেনিফারের সঙ্গে। আর সে পরিচয় থেকেই তাদের প্রেম হয়।

২০২২ সালের ১০ মার্চ চয়ন বাংলাদেশে চলে আসেন। তার পরও তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। ভালোবাসার টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জেনিফার অবশেষে ছুটে আসেন প্রেমিক চয়নের কাছে। গোপালগঞ্জে পৌঁছানোর পর চয়নের স্বজনেরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জেনিফারকে। সে একজন মাধ্যমিক লেভেলের শিক্ষার্থী। জার্মানির বাইলেফেল্ড স্টেটে বাবা-মার সঙ্গেই বসবাস করতেন। তার বাবার নাম জোসেফ স্ট্রায়াস ও মাতার নাম এসাবেলা স্ট্রয়াস।

জেনিফার তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশকে আমি ভালোবেসে খুশি হয়েছি। এখানকার পরিবেশ, আতিথিয়েতা ও সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তিনি আরও বলেন, পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে চলতে পেরে আমি খুশি।

চয়ন ইসলাম বলেন, আমি জার্মানিতে পড়াশোনা করার সময় জেনিফারের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসা। দীর্ঘ ৫ বছরের সম্পর্ক আমাদের। আমি সেখানে একটি চাকরি করতাম, সেটা ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসি। আমার ভালোবাসার টানে জেনিফার বাংলাদেশে চলে এসেছে। আমরা বিয়ে করেছি। আমার ও জেনিফার পরিবারের সবাই খুব খুশি। কিছু দিনের মধ্যে জেনিফারের বাবা-মা বাংলাদেশ আসবেন। তখন মহা-ধুমধামে বিয়ের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে।

চয়নের মা ঝর্ণা বেগম বলেন, ভাবতেও পারিনি জেনিফার আমাদের সঙ্গে এতো সহজে মিশে যেতে পারবে। বিদেশি বৌমাকে পেয়ে আমরা সবাই খুশি। অল্প সময়েই মধ্যে সে সবাইকে খুব আপন করে নিয়েছে। গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আনন্দ-উৎসব করে আমরা নববধূকে সবাই বরণ করে নেব।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ