বুধবার   ০৯ জুলাই ২০২৫ || ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

প্রকাশিত : ০৫:৩৯, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩

মিশ্র ফলের বাগানে ২ বছরে মোশারেফের ১৮ লাখ টাকার ফল বিক্রি!

মিশ্র ফলের বাগানে ২ বছরে মোশারেফের ১৮ লাখ টাকার ফল বিক্রি!

মিশ্র ফলের বাগান করে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যান্য আরো অনেকের কাজের ব্যবস্থা করেন তিনি। করোনার সময় পৃথিবী জুড়ে মানুষ ঘর বন্দি থাকলে তখন তিনি তার ৬ একর জায়গায় মিশ্র ফলের বাগান করে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। মহামারির সময়ে শুরু করা বাগান বর্তমানে বাণিজ্যিক রূপ ধারন করেছে। বলছি বরগুনার উদ্যোক্তা মোশারেফ হোসেনের কথা। তার এই বাগান থেকে গত বছর ১৮ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন।

জানা যায়, মোঃ মোশারেফ হোসেন বরগুনা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের হাজার বিঘার বাসিন্দা। করোনা মহামারির সময় যখন কোনো কাজ ছিল না তখন তিনি তার ৬ একর জায়গায় ৪টি বাগান করেছেন। তিনি দিশারী এগ্রো নামে বাগানের নাম রাখেন। তার বাগানে বিভিন্ন জাতের বরই, আম, পেয়ারা, মাল্টা, কমলা, থাই শরিফা ও সফেদা গাছ রয়েছে। তিনি গত বছর ডিসেম্বরে ১৮ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেন। তার গড়ে তোলা বাগান দেখতে আশেপাশের অনেক মানুষ ভীড় করেন। অনেকে তার কাছ থেকে পরামর্শও নিতে আসেন।

উদ্যোক্তা মোশারেফ হোসেন বলেন, আমি আমার বাবা ও দাদার সাথে কৃষি কাজে যুক্ত ছিলাম। তাই করোনার সময় যখন বাইরে বের হওয়া বন্ধ ছিলো তখন ফলের বাগান করার চিন্তা করি। তারপর আস্তে আস্তে আমার ৬ একর জায়গায় ৪টি বাগান করি। নিজের বাগানের ভূল খুজতে আমি অন্যদের বাগান পরিদর্শন করি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমার বাগানগুলোয় বিভিন্ন জাতের বরই, আম, পেয়ারা, মাল্টা, কমলা, থাই শরিফা ও সফেদা গাছ রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে বাগান থেকে ১৮ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছি। এর মধ্যে পেয়ারা এবং আম বছরের সব সময়ই পাওয়া যায়। এখনো বাগানে যে পরিমাণ বরইসহ অন্য ফল আছে, তাতে আরও ১৫-১৬ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে। আগামীতে আরও ৪ একর জমিতে বাগান করার পরিকল্পনা আছে।

স্থানীয়রা জানায়, মোশারেফ হোসেন মাত্র দুই বছর আগে বাগান শুরু করেন। আর এই দুই বছরের মধ্যেই তিনি সফলতা পান। তিনি নিজের আয়ের পাশাপাশি এলাকার অনেক যুবককে কাজ দিয়ে তাদের বেকারত্ব দূর করেছেন। আবার অনেকেই তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বাগান করেছেন।

বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, দিন দিন বরগুনায় ফলের বাগান বাড়ছে। স্থানীয় উদ্যোক্তা মোশারেফ হোসেন বাগান করে এই জেলার ফলের চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায়ও সরবরাহ করছেন। আমরা উদ্যোক্তাদের বাগান করার পরামর্শ ও সহেযাগিতা করছি।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ