মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ || ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

৮ মাছের দাম ৩০ লাখ টাকা!

৮ মাছের দাম ৩০ লাখ টাকা!

কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপে সমুদ্রপাড়ের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৮টি বিশাল আকৃতির কালো পোয়া মাছ। মাছগুলোর দাম হাঁকা হয়েছে ৩০ লাখ। সবশেষে এগুলোর দাম উঠেছে ২৫ লাখ টাকা। সোমবার (২৮ নভেম্বর) স্থানীয়ভাবে মাছগুলোর কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) এগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। এদিকে, বিশাল আকৃতির এ মাছগুলো নিয়ে ওই জেলে পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।

জানা যায়, মোহাম্মদ শহিদুল হক বহদ্দারের এফবি মা-বাবার দোয়া নামের মাত্র ২৪ অশ্বশক্তির মাছ ধরার একটি ছোট নৌকা আছে। তার বাড়ি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের জেলেপাড়ায়। ঐ এলাকায় প্রতিদিনের মত নৌকাটি নিয়ে ছোট ভাইসহ সঙ্গে আরও দুই জন জেলেকে নিয়ে সোমবার (২৮ নভেম্বর) বাসার পাশের সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরোয় শহিদুল। সমুদ্রের কুয়াঁরদ্বার পয়েন্টে কয়েকটি জাল ফেলে তারা। দুপুরে শেষ দিকে তাদের জালে ৮টি কালো পোয়া মাছ ধরা পড়ে।

এ খবর স্থানীয় ও চট্টগ্রামের মাছ ব্যবসায়ীদের কানে গেলে মোবাইলে ও সরাসরি দাম দরাদরি হয়। শহিদুলরা ৮টি মাছের দাম ৩০ লাখ টাকা চাইলেও স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ দাম বলেছে ২৫ লাখ টাকা। কিন্তু কিছুতেই শহিদুল তাদের দামের নিচে নামতে নারাজ। চট্টগ্রামের পাইকাররা আরও বেশি মূল্যে মাছগুলো কিনতে রাজি হওয়ায় এসব মাছ বরফ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হবে এসব মাছ।

এ ব্যাপারে জেলে একে খান বলেন, আমাদের জালে মহামূল্যবান মাছ ধরা পড়েছে। আমাদের পরিবারে তো এ নিয়ে ব্যপক আনন্দ-উল্লাস চলছে। এরআগে কেউ কখনো তাদের নৌকায় এমন মাছ ধরতে পারেনি। দাম ধরা হয়েছে ৩০ টাকা। কিন্তু স্থানীয়ভাবে এই দাম পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম থেকে অনেক মাছ ব্যবসায়ী যোগাযোগ করেছেন। তারা এই মাছগুলো কিনতে আগ্রহী। আগামীকাল (২৯ নভেম্বর) মাছগুলো নিয়ে চট্টগ্রামে যাব। দেখি ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারি কিনা।

মাছগুলো সামুদ্রিক জো-ফিস প্রজাতির। এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াক্যান্থাস’। এসব মাছের বায়ুথলি সাধারণত তিনটি কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রথমত- সার্জিক্যাল কাজে ব্যবহার হয় সুতা হিসাবে, দ্বিতীয়ত ভিটামিন-ই ক্যাপসুল তৈরি হয়, সর্বশেষ বিদেশে এসব মাছের বায়ুথলি দিয়ে অনেক দামি সুপ বানানো হয়।

মাছটির উচ্চমূল্য হওয়ার কারণ হলো, বিদেশে উচ্চমূল্যে এই বড় মাছ ও এগুলোর বায়ুথলি রপ্তানি হয় বলেই মাছটির এত মূল্য। হংকংসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই এই মাছের বায়ুথলি আকার ভেদে গ্রেড হিসেবে বিক্রি হয়। বঙ্গোপসাগরে এই মাছের অধিকমাত্রায় বিচরণ রয়েছে বলে জানা যায়।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়