মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ || ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:০৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

শসা চাষে আলমগীরের বাজিমাত!

শসা চাষে আলমগীরের বাজিমাত!

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আলমগীর শসা চাষে সফল হয়েছেন। নিজ উদ্যোগে ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে শসার আবাদ করেন। তার সফলতা দেখে আশেপাশের অনেকেই শসা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

জানা যায়, উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর চাকরির পেছনে না ছুটে বাবার এক খন্ড জমিতে কৃষি কাজ শুরু করেন আলমগীর। তার মেধা ও পরিশ্রম দ্বারা বর্ষাকালীন শসা উৎপাদন করে চমক লাগিয়ে দিয়েছে আলমগীর। মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি করে বর্ষার মৌসুমের ফেন্টোসি-২, থাইল্যান্ড-১, ৫৭৭ এবং আগাম ৩৫ জাতের শসার চাষ করেন তিনি।

আলমগীর বলেন, গত জুলাই মাসে ৫২ শতক পতিত জমিতে শসার আবাদ শুরু করি। পলিথিন সেডে মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি করে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও জৈব সার একসাথে প্রয়োগ করে জমি তৈরী করি। পলিথিনের সেড দেওয়ায় অতি বৃষ্টিতেও মাটির জো নষ্ট হয় না।

তিনি আরো বলেন, বর্ষার মৌসুমের ফেন্টোসি-২, থাইল্যান্ড-১, ৫৭৭ এবং আগাম ৩৫ জাতের শসা রোপনের ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল ও ৬৫ দিনের মধ্যে ফলন আসে। মোট জমি ৪ ভাগে ভাগ করে প্রতিবেড ৭দিন অন্তর অন্তর করে বীজ রোপন করা হয়। এতে করে একদিন পর পর শসা উত্তোলন ও বাজারজাতকরণের সুবিধা হয়। উৎপাদিত শসা পাইকারিভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ৩৭ টাকা কেজি দরে পাইকারি বাজার দর রয়েছে। এই বছরের বর্ষার মৌসুমে ২ লক্ষ টাকার শসা বিক্রি করে লাববান হয়েছি।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলিমুল শাহান বলেন, সারা বছর সবজির উৎপাদনের লক্ষ্যে রামপুর গ্রামের কৃষকদের বিভিন্ন সবজি চাষে কৃষি বিভাগ উৎসাহীত করছে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়