৩৮তম বিসিএস ক্যাডারে উত্তীর্ণ গোবিন্দগঞ্জের মেহেদী হাসান পলাশ
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) একটি গৌরবময় নাম। মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে সরাসরি মানুষের সেবা করার সুযোগ পান বিসিএস কর্মকর্তারা।
অপরদিকে, বিসিএস পরীক্ষা মানে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক প্রতিযোগিতা, যেখানে লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীকে পিছনে ফেলে শেষ হাসি হাসেন মাত্র হাজারখানেক পরীক্ষার্থী।
এ তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রতিযোগিতায় নিজের মেধা ও চেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে ৩৮তম বিসিএস ক্যাডারে উন্নীত হয়েছেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মেহেদী হাসান পলাশ। তিনি উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বোচাদহ গ্রামের আব্দুল হাদীর পুত্র।
মেধাবী এ শিক্ষার্থী সম্প্রতি প্রকাশিত ফলাফলে ৩৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে আনসার ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। মেহেদী হাসান বর্তমানে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
মেধাবী এ শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কেটেছে মফস্বলে,মেহেদী হাসান পলাশ ২০১০ সালে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০১২ সালে মহিমাগঞ্জ মহাবিদ্যালয় এইচএসসি এবং ২০১৭ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যাকানিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এ বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি জানান তার পড়ালেখার পেছনে বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বন্ধু-বান্ধবদের অনুপ্রেরণাই ছিল সবচেয়ে বেশি। আর তাদের অবদানেই আজকে সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
প্রথম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেই কিভাবে ক্যাডারে উন্নীত হলেন? আপনি কি অনেক বেশী লেখাপড়া করেছেন? নাকী অন্য কৌশল আছে? জানতে চাইলে তিনি জানান আমার কাছে মনে হয়েছে আমি স্কুলে দশম শ্রেনী পর্যন্ত যেটা পড়ছি সেটাই বিসিএস পরীক্ষায় বেশি কাজে দিয়েছে।
স্কুলের সময়টা পাঠ্যবই ভালভাবে পড়লে আর পাশাপাশি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস থাকলে পরবর্তী বাংলাদেশের যেকোন চাকুরীর পরীক্ষা তেই ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এ মেধাবী শিক্ষার্থী এরআগে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার জেনারেলে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছিলেন তবে তিনি যোগদান করেন নি সেখানে।
ক্যাডার সার্ভিসে আসার উদ্দেশ্যে সম্পর্কে জানতে চাইলে এ মেধাবী শিক্ষার্থী জানান ক্যাডার সার্ভিসে আসার উদ্দেশ্য পলিসি মেকিং লেভেলে নিজেকে নিয়ে যাওয়া যাতে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত হাজার হাজার মানুষের জীবন বদলে দিত।
দৈনিক গাইবান্ধা