শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৮:১২, ২৮ অক্টোবর ২০২০

২ লাখ প্রবাসীর পুনর্বাসনে ৭০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের উদ্যোগ

২ লাখ প্রবাসীর পুনর্বাসনে ৭০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের উদ্যোগ

গত ৭ মাসে দেশে ফিরে আসা সোয়া ২ লাখ প্রবাসীর পুনর্বাসনে ৭০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় কভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশফেরত কর্মীদের ৪ শতাংশ সরল সুদে বিনিয়োগ ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদেশফেরতদের পুনঃপ্রশিক্ষণের মাধ্যমে আবারও বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীদের পুনর্বাসন ও প্রবাসে কর্মরতদের নিরাপদ অভিবাসনসহ তাদের সার্বিক কল্যাণে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বিপদগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জরুরি খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার জন্য প্রায় ১০ (দশ) কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য প্রদান, কভিড-১৯ এ মৃত প্রত্যেক প্রবাসী বাংলাদেশির পরিবারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৩ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান; করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিদেশফেরত কর্মীদের কোয়ারেন্টাইন পালন শেষে নগদ ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা; বিদেশ প্রত্যাগত অভিজ্ঞ কর্মীদের যথাযথ স্বীকৃতি ও সনদায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশফেরত অসহায়, ক্ষতিগ্রস্ত, দরিদ্র কর্মী ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ দেশে চলমান সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় মানবিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী কর্মীদের পুনর্বাসনে সহজ শর্তে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ঋণ প্রদানের বিষয়ে গত ১২ জুলাই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সঙ্গে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, বিদেশফেরত কর্মীরা অভিজ্ঞতার বিবেচনায় দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য। তিনি বলেন, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আমরা প্রবাসী কর্মীদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি। তাদের সামগ্রিক সুরক্ষায় সরকারের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।’ মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল আলম জানান, গত ১ এপ্রিল থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে যারা ফেরত এসেছেন তাদের মধ্যে ২ লাখ ১৪৬ জন পুরুষ এবং ২৫ হাজার ৪৩৬ জন নারী রয়েছেন। তিনি জানান, বিদেশফেরত কর্মীদের মধ্যে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৪ জন পাসপোর্টধারী বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে কাজ না থাকা, কাজের বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া, আকামা বা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় অবৈধ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে দেশে ফিরে এসেছেন। আবার বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে ৩৪ হাজার ৩৮৮ জন কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন।

 

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ