হার্ট ভালো রাখবে ডার্ক চকলেট
প্রিয়জনের রাগ ভাঙাতে চকলেটের চেয়ে ভালো উপায় আর কিছুই হতে পারে না। স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী চকলেট। বিশেষ করে ডার্ক চকলেট। এতে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
মূলত কোকো গাছের বীজ থেকে চকলেট তৈরি হয়। চকলেট ডে তে প্রিয়জনের কাছ থেকে চকলেট পেয়েছেন নিশ্চয়। এটি শুধু ভালোবাসার প্রকাশ নয়, আপনার প্রতি কেয়ারিংয়েরও বহিঃপ্রকাশ।
চকলেট হলো পৃথিবীতে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উৎস। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ডার্ক চকলেট হৃদপিণ্ডের রোগ হবার প্রবণতা কমিয়ে আনে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আধুনিক দক্ষিণ আমেরিকার প্রাচীন প্রাক-ওলমেক সম্প্রদায় কোকো পাউডার ব্যবহার করতো নানা ধরনের মিষ্টি, চকলেট পানীয় তৈরি করতে। তারা সে খাবারগুলো খেতেন সন্ধ্যার খাবার হিসেবে।
যখন ইউরোপীয়রা আমেরিকা উপনিবেশ স্থাপন শুরু করে, ভ্রমণকারীরা চকলেটের প্রথম সংস্করণটি স্প্যানিশ কোর্টে পাঠান, সেখানে চকলেট রাতারাতি সকলের মন কাড়ে। তখন থেকেই, সারা বিশ্ব জুড়ে চকলেট তৈরি এবং চকলেট দিয়ে আরও নানান ধরনের খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এভাবেই নানান ধরনের এবং স্বাদের চকলেট পেয়েছি আমরা।
চলুন জেনে নেই চকলেটের দারুণ কিছু গুনাগুণ-
> অত্যন্ত পুষ্টিকর চকলেটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উৎকৃষ্ট উৎস। যা আপনার উচ্চ রক্ত চাপ কমিয়ে আনে। ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে।
> হৃদপিণ্ডের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
> কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।
> ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
> মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
> রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করতে সহায়তা করে।
অবশ্যই, সুস্বাস্থ্যের জন্য চকলেটের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তবে তার মানে এই নয় যে সারাদিন চকলেট খাওয়া যাবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত চকলেট কখনই খাওয়া যাবে না। আর এটাও মনে রাখতে হবে যে বাজারে পাওয়া সকল চকলেট স্বাস্থ্যকর নয়। চকলেট কেনার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মিষ্টি চকলেট না খেয়ে ডার্ক চকলেট খান। এতে উপকার পাবেন অনেক বেশি। খেতে তিতকুটে লাগলেও ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে।
দৈনিক গাইবান্ধা