সুন্দরবনের কারণেই দুর্বল হচ্ছে বুলবুল
শনিবার রাত ১১টার পর আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক আয়েশা খানম বলেন, বুলবুল উপকূল অতিক্রম করছে। তত লোকালয়ে যত আসবে ততই দুর্বল হয়ে যাবে। সুন্দরবনের কারণেই দুর্বল হয়ে যাবে।
মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূল অতিক্রম করবে তারপর বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে বুলবুলের। শক্তিশালী এই ঝড়ের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
রাত ১১টার পর সাংবাদিকদের আয়েশা খানম জানান, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বুলবুল অতি প্রবল ছিল যা কিছুটা দুর্বল হয়েছে। বাতাসের বেগ কিছুটা কমেছে। এটা আরো উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের দিকে আসবে। যত আসবে তত দুর্বল হবে।
তিনি আরো বলেন, মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করবে তারপর বাংলাদেশে আসবে। এটি সুন্দরবন দিয়ে উপকূল অতিক্রম করছে। সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হেনেছে। ওই সময় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিমি। তখন এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে ছিল।
বুলবুলের কারণে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টি হয়। যার প্রভাবে দেশের অনেক অঞ্চলেও বৃষ্টি হয়। দুপুর থেকে শুরু হওয়া জোয়ার এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে উপকূলীয় এলাকায়।
উপকূলের ১৪টি জেলায় প্রস্তুত ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে।
শুক্রবার বিকেলের পর থেকেই দেশের অভ্যন্তরীণ সব নৌপথে লঞ্চ ও জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোর সব কার্যক্রম। সাগরে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের উড়োজাহাজ চলাচল।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববারও সারাদেশে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করবে। সোমবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
দৈনিক গাইবান্ধা