শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

সুন্দরগঞ্জে ‘বাসক’ চাষ, ভাগ্য খুলেদিল কৃষকদের

সুন্দরগঞ্জে ‘বাসক’ চাষ, ভাগ্য খুলেদিল কৃষকদের

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন রাস্তার ধারে ঔষধি গাছ ‘বাসক’ চাষ কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এই ‘বাসক’ পাতা উৎপাদন করে অনেকটাই লাভবান হচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন কৃষি উৎপাদনকারি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যরা গত ২০১৬ সালে এই বাসক চাষের উদ্যোগ নেয়। এরপর উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নিকট প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তার ধারের জমি লিজ নেওয়া হয়। বিনিময়বিহীন ১৫ বছর মেয়াদে এই চুক্তি সম্পাদন করেন সদস্যরা। এছাড়াও উৎপাদনকৃত বাসক পাতা বাজারজাত করার জন্য চুক্তি করা হয়, দেশের স্বনামধন্য ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান ‘একমি’ কোম্পানির সঙ্গে। সেই থেকে ঔষুধিবৃক্ষ বাসক চাষ শুরু করেন সমিতির সদস্যারা।

এই চাষ সম্পর্কে সমিতির সদস্যরা জানান, বছরের যেকোনো সময়ে বাসক চারা রোপন করা যায়। চারা রোপনের ৩ মাস পর বাসক পাতা উৎপাদন করা সম্ভব। হালকা হলুদ রঙয়ের ডালপালাযুক্ত ১ থেকে ৩ মি. উঁচু গাছ, ঋতুভেদে সবসময়ই প্রায় সবুজ থাকে। পাতাগুলো পরিপক্ক হলে গাছ থেকে ছিঁড়তে হয়। পরিচ্ছন্নভাবে রোদে শুকিয়ে তা বিক্রি করছেন একমি ঔষুধ কোম্পানির কাছে। এতে তারা অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করছেন। ফলে বাসক পাতা যেমন আনতে পারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি,তেমনি বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পাতা দেশের ওষুধ শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

এদিকে ওই সমতির সদস্যদের বাসক চাষকে অনুকরণ করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুরসহ বেশকিছু এলাকায় বানিজ্যিকভাবে বাসক চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। চন্ডিপুর ইউনিয়ন কৃষি উৎপাদনকারি সমবায় সমিতি লিমিটেডের ক্যাশিয়ার আঙ্গুর মিয়া বলেন, বাসক চাষে খরচ হয় অনেক কম। হালকা পরিচার্যা ও বালাইনাশক ঔষধ প্রয়োগ করেই বাসক উৎপাদন করা যায়। ৬০ কিলোমিটার রাস্তার ধারে লাগানো বাসক গাছে বছরে প্রায় খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। যা থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব হয়ে থাকে।

একমি কোম্পানির প্রতিনিধি হাসুবুল হাসান বলেন, সমিতির সদস্যদের উৎপাদন করা বাসক পাতাগুলো প্রতিমাসে একবার সংগ্রহ করা হয়। বাসকের পাতায় শ্বাসনালীর লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় করে বলে বাসক শ্লেষ্মানাশক হিসেবে প্রসিদ্ধ । বাসক পাতার নির্যাস, রস বা সিরাপ শ্লেষ্মা তরল করে নির্গমে সুবিধা করে দেয় বলে সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালীর প্রদাহমূলক ব্যাধিতে বিশেষ উপকারী।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার রেজা-ই-মাহমুদ জানান, বাসক চাষ অত্যান্ত লাভজনক ফসল। উপজেলার কৃষকের লাগানো বাসক ক্ষেতগুলো নিয়মিত তদারিকি করা হচ্ছে। যাতে করে কৃষকরা অধিক লাভ করতে পারে,সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু