সিলেটের তিন শিক্ষার্থীর উদ্ভাবন: দেশের ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে
সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির কয়েকজন ছাত্র ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে উদ্ভাবন করেছে ‘রেল প্রটেকশন সিস্টেম’। দুর্ঘটনার মূল তিনটি কারণকে গুরুত্ব দিয়ে এ ডিভাইসটি উদ্ভাবন করেন তারা।
ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে উদ্ভাবনী চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ৩ ছাত্র তারেক আনোয়ার শিকদার, ফাহাদ বিন আইয়ুব ও শেখ ফয়সাল। মাত্র ৪ মাসেই আসে উদ্ভাবনের সফলতা। ট্রেন দুর্ঘটনা পুরোপুরি রোধে তৈরি করে ফেলেন একটি পূর্ণাঙ্গ 'রেল প্রটেকশন সিস্টেম'।
দুর্ঘটনার প্রধান তিনটি কারণ চিহ্নিত করে তার প্রতিকার হিসেবে ‘রেল প্রটেকশন সিস্টেম’ ডিভাইসটি উদ্ভাবন করেন তারা। সে সিস্টেম দ্বারা রেল ক্রসিংয়ের সব দুর্ঘটনা পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব।
তরুণ উদ্ভাবক ফাহাদ বিন আইয়ুব জানান, পাতের কম্পনের মাধ্যমে জানা যাবে ট্রেন ক্রসিং ওভার থেকে কতদূরে আছে এবং যখনই ট্রেন ক্রসিং ওভারের কাছাকাছি চলে আসবে অটোমেটিক্যালি সেটা ক্রসিং ওভারের গেইট অফ করে দিবে। এতে রেল ক্রসিংয়ের আর দুর্ঘটনার সুযোগ থাকবে না।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত বছরের শেষের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে বহু হতাহতের পর লিডিং ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের গবেষণায় যোগ হয় মুখোমুখি সংঘর্ষের বিষয়টি। যে কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষ রোধেও সক্ষমতা রয়েছে তাদের তৈরি এই ‘রেল প্রটেকশন সিস্টেমে।’
উদ্ভাবক শেখ ফয়সাল বলেন, ট্রেনের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষ প্রতিহত করার জন্য এমন একটি ডিভাইস তৈরি করেছি যেটা প্রত্যেকটি ট্রেনের সঙ্গে লাগানো থাকবে এবং সেটা তার পথ স্ক্যান করবে, যার মাধ্যমে ট্রেনের চালক বুঝতে পারবে তার যাত্রাপথে কোনো বাধা আছে কিনা। যদি কোনো বাধা থাকে তাহলে ট্রেন চালক তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনের ইঞ্জিন বন্ধ করে দিতে পারবে। এভাবে উদ্ভাবিত ‘রেল প্রটেকশন সিস্টেম’দ্বারা ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব।
দৈনিক গাইবান্ধা