শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:০৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২১

সাদুল্লাপুরে হলুদ চাষে সফলতা, হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

সাদুল্লাপুরে হলুদ চাষে সফলতা, হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

সাদুল্যাপুরে উৎপাদিত হলুদ নিয়ে এ প্রবাদের ব্যাপক প্রচলন। রান্না সুস্বাদু করতে এ এলাকার লাল মাটির হলুদের জুড়ি মেলা ভার। তরকারিতে সামান্য হলুদ মেশালেই এর রং বদলে অনন্য হয়ে যায়। এজন্য দেশজুড়ে এ এলাকার লাল মাটির হলুদের চাহিদা রয়েছে। এবার করোনাকালেও লাভজনক ফসল হলুদ চাষে ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছেন উপজেলার কৃষকরা। তাই ভালো ফলন ও দাম পাওয়ার সম্ভাবনায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে ডিমলা, সুন্দরী ও স্থানীয় জাতের হলুদ চাষ হয়েছে। এখান থেকে উৎপাদন হবে ৩৫ থেকে ৪০ টন হলুদ, যা থেকে কৃষকরা আয় করবেন অর্ধকোটি টাকা।
উপজেলার ধাপেরহাট, ফরিদপুর, ইদিলপুর, ক্ষোর্দ্দকোমরপুর ও ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষকরা হলুদ চাষ করেছেন। গত বছর কৃষকরা ভালো ফলনের সঙ্গে আশাতীত দাম পেয়েছেন। তাই এবার আরও বেশি জমিতে হলুদ চাষ করেছেন। এছাড়া অন্য ফসলের তুলনায় অল্প খরচে হলুদ আবাদ করা যায়।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, মার্চ-এপ্রিল মাসে হলুদ চাষ শুরু হয়। শুরুর ২৭০ থেকে ২৮০ দিনের মধ্যে জমি থেকে হলুদ উত্তোলন করতে হয়। এই সময়ে হলুদের জমিতে ‘সাথী ফসল’ হিসেবে পটোল, শিম, ঝিঙ্গা, করলা, পুরাআলু, লাউ, কুমড়া চাষ করে বাড়তি আয় করা যায়। অর্থাৎ হলুদ চাষ করা জমিতে একই সঙ্গে কৃষকরা দুই ফসল ফলাতে পারেন।
ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের চাষি আবুল কাশেম সরকার জানান, হলুদ আবাদে অন্যান্য ফসলের মতো সেচ দিতে হয় না, বাড়তি রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। রোপণের পর পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষকই এবার হলুদ আবাদে ঝুঁকছেন। আশা করা হচ্ছে ফলনও ভালো পাওয়া যাবে।
অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাদুল্যাপুর উপজেলায় করোনাকালে এবার প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে ডিমলা, সুন্দরী ও স্থানীয় জাতের হলুদ চাষ হয়েছে। এখান থেকে উৎপাদন হবে ৩৫ থেকে ৪০ টন হলুদ। খরচ বাদে প্রতি কেজি হলুদ ন্যূনতম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও অর্ধকোটি টাকার হলুদ বিক্রি করবেন এ কৃষকরা।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ