সাঘাটায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি অর্জিত
গাইবান্ধার সাঘাটায় ইরি-বোরো মৌসুমে শত শত একর জমির সোনালী ধান এখন বাতাসে দুলছে। শুরু হয়েছে ধান কাটা মাড়াই এর কাজ। রোগবালাই কম তাই ভালো ফলন পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। ধান কাটার পর ফাঁকা হওয়া জমিতে আউষ ধান করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এবার ইরি-বোরো ভালো ধানে বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা আশায় বুক বেধেঁ আছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে । শ্রমিক সস্কট না হলে,মাঠ থেকে সময়মত ধান কেটে ঘরে তুলতে পারলেই এলাকার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে। বোরো ধান পাকায় ইতিমধ্যে সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ।
চাষিরা বলছেন,এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরো ধানে রোগবালাই কম তাই ধানের ফলোনো হয়েছে ভালো। উৎপাদিত বোরো ধান আবাদে বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ১৬ থেকে ২০ মণ পর্যন্ত। এসব ধানের খর গো-খাদ্যের চাহিদা মেটাবে। তবে কৃষকরা করোনায় শ্রমিক সংকট এবং ধানের বাজার নিয়ে চিন্তায় পড়েছে। প্রতিমন ধান ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বেচা কেনা হচ্ছে।
সাঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সাদেকুজ্জামান জানান,সাঘাটা উপজেলায় এবার ১৩ হাজার ৯শ ১৪ হেক্টর জমিতে বোরো ফসলের আবাদ হয়েছে,এর মধ্যে ১০ হাজার ৬শ ৫ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের এবং ৩ হাজার ১শ ৮৯ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড ধানের আবাদ হয়েছে। অন্যান্য বারের চেয়ে এবারে বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকা এবং কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকির কারণে। এবারে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৯শ হেক্টর জমি।
দৈনিক গাইবান্ধা