সাঘাটায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
গাইবান্ধার সাঘাটা থানার দক্ষিণ পার্শ্বে চিনিরপটল গ্রামে দুপুরে সাঘাটা প্রেসক্লাব আয়োজনে, যমুনা নদীতে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ (৭ম বর্ষ) ২০১৯ প্রতিযোগিতা খেলা উদ্বোধন করা হয়েছে।
উদ্বোধন কালে বক্তব্য রাখেন, অবিভক্ত বাংলার কৃষি মন্ত্রী,মরহুম আহম্মেদ হোসেন উকিল নাতি, কামালের পাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল্লাহ আল-হাদী ছেলে, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মাহবুবুর রহমান নিটল।
আলোচনা সভায় হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাঘাটা ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান।
খেলা পরিচালনা কমিটি সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা থানা এস আই রবিউল ইসলাম। কমিটির ক্যাসিয়ার আসলাম মোল্যা,অপস্থাপনা করেন, আব্দুল হাই।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সাঘাটা ডি এস বি পুলিশ আব্দুর রাজ্জাক। প্রথমদিনে বাংলার বাহাদুরসহ ১০টি দল অংশ গ্রহন করে। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শেষে প্রথম বিজয়ীকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যে একটি গরু , দ্বিতীয় বিজয়ীকে একটি ফ্রিজ, তৃতীয় বিজয়ীকে একটি এলইডি টিভি প্রদান করা হবে বলে জানাগেছে। এক নজর নৌকা বাইচ খেলা দেখার জন্য উৎসুক হাজারো নারী-পুরুষ সমেবেত হয় যমুনা পাড়ে। উল্লেখ, নৌকা বাইচে ব্যবহৃত সব গানে প্রানবন্ত ধর্মীয় ও আঞ্চলিক সুর থাকে। থাকে লোকজ শব্দের অসাধারণ ব্যবহার।
উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন নৌকার মালিকরা। এখনো জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঝে মধ্যে নৌকাবাইচ হয়। কিন্তু আগের মতো সেই আনন্দ-উদ্দীপনা আর আবেদন নেই।
দর্শকদের সামনে দৃষ্টিগোচর করতে নৌকার সামনে সুন্দর করে সাজানো হয় এবং ময়ুরের মুখ, রাজহাঁসের মুখ বা অন্য পাখির মুখের অবয়ব তৈরি করা হয়। নৌকাটিকে উজ্জ্বল রঙের কারুকাজ করা হয়। নৌকা বাইচ আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতির একটি অংশ। শত, শত বছর ধরে এটি চলে আসছে।
কিন্তু বর্তমান যান্ত্রিক যুগে এসে বাঙালির প্রাচীন এই ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সংরক্ষণে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। ভাদ্র মাস আসার আগেই গাইবান্ধার সাঘাটার যমুনাসহ জেলার সকল নদীপারের মানুষ প্রস্ততি নেয় বাইচ উৎসবের। চলে নৌকার ঘষামাঝা। সবার বাড়িতে চলে উৎসবের আয়োজন।
এক সময় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল নদীকেন্দ্রিক, নৌকাবাইচ সমন্ধে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মাঝে জনশ্রুতি আছে। হলদিয়ার সোহেল মিয়া বলেন, এ খেলা অতি জনপ্রিয় খেলা ।
দৈনিক গাইবান্ধা