শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৯ জুলাই ২০২১

সাঘাটায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন লোহা কারিগররা

সাঘাটায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন লোহা কারিগররা

সাঘাটায় কামারপাড়ায় দিনে রাতে সমানতালে লোহা পেটানোর শব্দ জানান দিচ্ছে, কোরবানীর ঈদ দৌড় গোড়ায়। ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন লোহা কারিগররা। তবে গত বছরের ঈদের চেয়ে তুলনা মূলক কাজ না থাকায় হতাশায় দিন কাটছে কারিগরদের। জানা গেছে, উপজেলায় কামারপাড়া গুলোতে দিনে রাতে সমানতালে হাপর ওঠা নামা করছে। হাপর থেকে বেরিয়ে আসা বাতাস আর লোহা পোটানোর শব্দ জানান, দিচ্ছে কোরাবনীর ঈদ দৌড় গোড়ায়।

কোরবাণীর ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে লোহা কারিগরেরা। তবে করোনার কারনে গত ঈদের সময়ের চেয়ে কাজ ও বিকিকিনি না থাকায় চিন্তার ভাজ পরেছে শতাধীক পরিবারের চোখে মুখে। কোরবাণীর পশু জবাইয়ের অন্যতম অনুসঙ্গ ধারালো ডাসা, ছুরি, বটি, হাসুয়াসহ বিভিন্ন অস্ত্র। চলমান লকডাউনে হাট বাজার বন্ধ থাকায় কামারদের উপর এবার বেশি চাপ পড়েছে।

লকডাউন শিতিল করার ফলে দম ফেলার সময় নেই কামার পাড়ার কারিগরদের। দিনরাত সমান তালে লোহার টুং টাং শব্দে মুখরিত প্রতিটি কামারশালা। কোরবানীর জন্য প্রস্তত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার পশু । সাঘাটা উপজেলার কচুয়াহাট গ্রামের কামার শালার কারিগর নারায়ন, কাশি ও ভবেশ বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার নতুন সরঞ্জাম তৈরির সংখ্যা বেশি। ছোট ছুরি ২৫০ থেকে ৩শ, বড় ছুরি ৫শ থেকে ১ হাজার, মাংস কাটার ডাসা ২ হাজার টাকা দরে বানানো হচ্ছে। এছাড়াও পুরানো বটি, ছোট ছুরি ৬০ টাকা, ডাসা ও বড় ছুরি ১৫০ টাকা করে ধার দেয়ার খরচ নেয়া হচ্ছে।

নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। লোহা ও ইস্পাতের মূল্য বৃদ্ধিতে অস্ত্র বানাতে খরচ বেশি হচ্ছে। এছাড়াও কয়লার দামও বেশি। মাংস কাটার ডাসা ও ছুরি বানাতে আসা সেলিম মিয়া জানান, গত বছর যে ডাসা বানানো খরচ হতো ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫’শ টাকা, সেই ডাসা বানাতে এখন খরচ হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫’শ টাকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তুহিন হোসেন জানান, করোনায় আর্থিক সংকটে রয়েছে, তাদের জন্য সরকারের প্রান্ত্রিক জনগোষ্ঠীর যে প্রণোদনা প্যাকেজ রয়েছে তালিকা করে দেওয়া হবে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ