সাঘাটার জমিদার বাড়ী আজও কালের স্বাক্ষী
সাঘাটা জমিদার বাড়ীটি আজও কালের নিদঁশন হিসেবে দাড়িয়ে আছে। যে বাড়ীটিতে ছিল জমিদারী। জমিদারের কাছে নানা প্রয়োজনে প্রজাদের আনাগোনা লেগেই থাকত। পরিবার পরিজন আর আগতদের পদভারে মুখরিত থাকত জমিদার কাচারীবাড়ী।
দেশ বিভক্তের পর পরিবার নিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার প্রায় আড়াইশ বছর অতিবাহিত হলেও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হাট ভরতখালীর জমিদার রাজেস কান্ত রায়ের জমিদার কাচারীবাড়ীটি। অপরুপ কারুকাজে খচিত বাড়ীটির জানালা দরজা না থাকলেও নিখুত গাথুনি আজও মন কারে।
কালের বিবর্তনে বাড়ীটির ভিতরে এখন শুধুই জঙ্গল আর অন্ধকার। জানাযায়,গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সদর বোনারপাড়া থেকে ৭কি.মি পূর্ব উত্তরে মুক্তিনগর ইউনিয়নের ভরতখালীতে অবস্থিত তৎকালীন ওই জমিদারে এ বাড়ীটি সংরক্ষণের কোন উদ্দ্যেগ নেওয়া হয়নি। বরং বাড়ীটি পেছনে আরোও একটি কাচারী বাড়ী ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, এর সঠিক ইতিহাস তারাও তাদের বাপদাদার কাছ থেকে শুনেছে। কথিত আছে, এলাকার বিশাল জমিদারীর কেন্দ্র বিন্দু ছিল এ কাচারীবাড়ী।
এখানে প্রজাদের নিকট থেকে খাজনা আদায় করা হত। এলাকার বাসীন্দারা জানান, ভরতখালী এলাকার বিশাল জমিদারী একাংশে কাষ্টকালী মন্দীর নির্মাণ করেন রাজা রাজেস কান্ত রায়।
ঐতিহ্যবাহী ভরতখালী হাট, গো-হাট, কালীমন্দীর এ সবই তার প্রচেষ্টায় স্থাপিত। ৭একর ২৮ শতাংশ জমি তিনি মন্দীরের নামে দান করেন। যা দেবত্তর সম্পত্তি হিসেবে রয়েছে। জমিদারের দানকৃত এসব সম্পত্তি নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের।
দৈনিক গাইবান্ধা