মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ || ২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১৬:০১, ২ জানুয়ারি ২০১৯

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়া কারিগর সাদুল্লাপুরের একজন মান্নান সরকার

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়া কারিগর সাদুল্লাপুরের একজন মান্নান সরকার

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়া কারিগর হিসেবে খ্যাত আলহাজ¦ আব্দুল মান্নান সরকার। তিনি নিজ নামীয়সহ এ পর্যন্ত প্রায় ২৫টি স্কুল/মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরফলে আব্দুল মান্নান সরকার এলাকায় সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেছেন। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত খেজু গ্রামের মৃত গেন্দা মামুন সরকারের ছেলে আব্দুল মান্নান সরকার। বর্তমানে তিনি পিতার নামীয় গড়া প্রতিষ্ঠান কিশামত খেজু গেন্দা মামুন ব্যাপারী দাখিল মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

আব্দুল মান্নান সরকার নিজ নামীয় মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান করাসহ তাঁর পিতা, মাতা, ভাই ও শ^শুরের নামেও একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

আব্দুল মান্নান সরকার এর নামীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, উত্তর নুরপুর মো. আব্দুল মান্নান সরকার পিসি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, কিশামত বড় বাড়ি এমএ পিসি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও বড় নুরপুর মো. আব্দুল মান্নান সরকার পিসি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা। পিতার নামীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- কিশামত খেজু জিএমবি দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসা ও কিশামত খেজু গেন্দা মামুন ব্যাপারী দাখিল মাদ্রাসা। মাতার নামীয়- কিশাতম খেজু মহিরন নেছা বালিকা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রসা। ভাইয়ের নামীয়- আজিজল হক হারিয়ার কুটি বালিকা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা। শ^শুরের নামীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- মধ্য দামোদরপুর শহর উদ্দিন বালিকা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা।

এছাড়াও তিনি কিশামত খেজু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তৎকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠালগ্নে নিজের শয়ন ঘর অপসারণ করার পর ওই ঘরটি স্কুলঘর হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সবমিলে এই ত্রলাকায় প্রায় ২৫টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেছেন আব্দুল মান্নান সরকার। সেই সাথে ২০০২ সনে নিজের দুই শতক জমি দান করে প্রতিষ্ঠিত করেন কিশামত খেজু ডাকঘরটি। এখানে তাঁর স্ত্রী আলহাজ¦ মোছা. সলুকজান বেগম পোষ্টমাষ্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর দুই কন্যা ও জামাইরাও শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। তাঁর পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে প্রায় ২০জন ব্যক্তি শিক্ষকতা পেশায় আছেন। তিনি বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদে সভাপতি হিসেবেও যথারিতি দায়িত্ব পালন করেছেন।

স্থানায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, আব্দুল মান্নান সরকারের কর্মকান্ড ব্যতিক্রম। তাঁর তুলনা হয় না। এখনো তিনি প্রতিষ্ঠানসমূহে এসে কার্যক্রম তদারক করেন। শিক্ষার প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ আমাদের উজ্জীবিত করে। এত বড় ত্যাগ আমাদের সমাজে এ পর্যায়ের মানুষের মধ্যে খুব একটা দেখা যায় না। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় তিনি প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছেন। নিজের সংসারের চেয়ে অন্যের উপকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন তিনি।

বৃদ্ধা সাহেব উদ্দিন বলেন, শৈশব থেকে মানুষের বিপদ-আপদে পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন আব্দুল মান্নান সরকার। সে সময়ে টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকলে কায়িক শ্রম দিয়ে উপকার করতেন। তাকে নিয়ে আমরা খুব গর্ববোধ করি। তাঁর চেষ্টাতেই আজ শিক্ষার আলোয় আলোকিত এ এলাকা। এমন নিঃস্বার্থ মানুষ সমাজে বিরল।

আব্দুল মান্নান সরকার বলেন, এলাকার শিক্ষিক ব্যক্তির কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম। এ স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে প্রায় ২৫টি প্রতিষ্ঠান নিজ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত করেছি। সম্প্রতি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনসুইজারল্যান্ডে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় কিবৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলাসবাই ঈদের নামাজে গেলে শাহনাজের ঘরে ঢুকে প্রেমিক রাজু, অতঃপর...