শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৫:০২, ৭ আগস্ট ২০২০

শতভাগ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে সুন্দরগঞ্জ

শতভাগ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে সুন্দরগঞ্জ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত মহিলাদের শতভাগ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

​জানা যায়, গত ২৫ জুলাই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ সংক্রান্ত পত্রের আলোকে উপজেলা সমাজসেবা অফিস চাহিদা প্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট পৌরসভার মেয়রসহ ১৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে তালিকা চেয়েছে। এতে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারগুলো একদিকে যেমন প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবে। অপরদিকে কমে আসবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সুবিধা প্রদানের নামে অর্থ হাতানো। বঞ্চিত দুঃস্থরা পাবেন ন্যায্য অধিকার এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় বিশিষ্টজনরা।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ‘চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম আসায় বিগত দিনে অনেক দুঃস্থ পরিবারের বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীত মহিলা ও প্রতিবন্ধীদেরকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় আনা অনেকটা অসম্ভব ছিল’।

কোন কোন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে চাহিদা প্রেরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি চাওয়ার ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি নেয়ার মত কোন কথা আমাদের ছিল না। তবে আগামী রবিবার থেকে সোমবারের মধ্যে (৯-১০ আগস্ট) এ চাহিদা পাঠাতে হবে মর্মে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে জানানো হয়েছে’।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাকিল মিয়া জানান, ‘বিগত দিনে বরাদ্দের পরিমাণ কম থাকায় অনেকেই এ সুবিধা বঞ্চিত হয়েছেন’।

​উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী লুৎফুল হাসান জানিয়েছেন, উপজেলায় প্রথমবারের মত এ প্রক্রিয়ায় অধিকারপ্রাপ্তদের অবৈধ পন্থায় কোন অর্থনৈতিক ক্ষতি করতে হবে না। প্রকৃতপক্ষে সংশ্লিষ্ট পরিবারের বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীত ও প্রতিবন্ধীরাই এ সুবিধা ভোগ করবেন।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছর  থেকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সকল ভাতাভোগীর প্রাপ্য ভাতা জিটুপি (সরকার থেকে সরাসরি ব্যক্তির কাছে) পদ্ধতিতে শতভাগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এজন্য এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনাপত্র পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সকল ভাতা উপকারভোগীর কাছে আবশ্যিকভাবে জিটুপি পদ্ধতিতে প্রদানের বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জিটুপি পদ্ধতিতে বিভিন্ন ভাতা প্রদান কার্যক্রম শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপকারভোগীদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নাম্বারসহ তথ্যাদি উপাত্ত প্রয়োজন। এমতাবস্থায় জিটুপি পদ্ধতিতে বিভিন্ন ভাতা প্রদান কার্যক্রম শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপকারভোগীদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নম্বরসহ ডাটা এন্ট্রি সম্পন্ন করে মন্ত্রণালয়ে অবহিত করার নির্দেশনা দেয়া হয় চিঠিতে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিগুলোতে স্বচ্ছতা আনয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অর্থ বিভাগে সামাজিক নিরাপত্তা বাজেট এমআইএস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভার থেকে তথ্য যাচাই করে সঠিক উপকারভোগী নির্বাচনের পথ সুগম হয়েছে। এটি ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে উপকারভোগীর ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংক হিসাবে সরাসরি সরকারি কোষাগার থেকে জিটুপি পদ্ধতিতে অর্থ পাঠানো হবে।

 

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু