লেটুস পাতার উপকারিতা
লেটুস বা লেটুস পাতা খুবই উপকারী একটি সবজি। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে এর ব্যাবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লেটুস কাচাই খাওয়া যায়। খেতে সুস্বাদু এবয় পুষ্টিকর হওয়ায় লেটুস পাতা পছন্দের তালিকায় রাখছেন সবাই। বাংলাদেশের মানুষের কাছে লেটুস পাতার জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পুষ্টিগুন :
প্রতি ১০০ গ্রাম লেটুসে আছে ১৫ গ্রাম ক্যালোরি, ২৮ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৯৪ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ২.৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১.৪ গ্রাম প্রোটিন, ভিটামিন এ , ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬ , ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম ।
আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক লেটুস পাতার উপকারিতা গুলো :
ওজন কমাতে সহায়ক :
লেটুস পাতায় আছে ফাইবার ও সেলুলোজ। এছাড়াও এতে ক্যালোরীর পরিমাণ খুবই কম। ফলে যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তারা খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে লেটুস পাতা রাখতে পারেন। প্রতিদিন সালাদের সাথে প্রচুর লেটুস পাতা রাখুন । তাহলে কম ক্যালোরিতে পেটও ভরবে আর খাবারের স্বাদও অক্ষুন্ন থাকবে।
হৃদপিণ্ডর জন্য ভালো :
লেটুস পাতায় উপস্থির ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সহাযতা করে। এছাড়াও লেটুস পাতায় আছে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন। এই দুটি উপাদান কোলেস্টেরলের অক্সিডেসন কে বাধা দেয় এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। ফলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদপিণ্ড ভালো থাকে।
হাড় ভালো রাখে :
লেটুস পাতা ভিটামিন কে এর একটি ভালো উৎস। ভিটামিন কে হাড়ের মেটাবলিজম বাড়ায়। এছাড়া ও ভিটামিন কে হাড়ের কোষ গুলোকে সচল রাখে এবং দ্রুত হাড় ক্ষয় হওয়ার থেকে শরীর কে রক্ষা করে।
ভেষজ প্রোটিনের উৎস :
লেটুসের ক্যালরীর মোট ২০ শতাংশ হলো ভেষজ প্রোটিন। এই ভেসজ প্রোটিনের সাথে প্রাণীজ প্রোটিন মিশিয়ৈ সালাদ বানালে শরীরের প্রোটিনের অভাব দূর হবে এবং শরীরের গঠন প্রক্রিয়া সচল থাকবে।
ত্বক ভালো রাখে :
লেটুস প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আছে। যা ত্বকের জন্য খুবিই উপকারি। নিয়মিত লেটুস পাতা খেলে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
দৈনিক গাইবান্ধা