বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ১৯ মার্চ ২০২০

রক্তিম রঙে সেজেছে লালমিয়ার লালশাক ক্ষেত

রক্তিম রঙে সেজেছে লালমিয়ার লালশাক ক্ষেত

একজন আদর্শ কৃষক আতাউর রহমান ওরফে লালমিয়া । বয়স ৫০ ছুঁইছুঁই করছে। কৃষক পরিবারেই জন্ম তার। তাই কৃষি ফসল উৎপাদন করাই লালমিয়ার পেশা ও নেশা। এ বছরে ধান,  রসুন, পেঁয়াজের পাশাপাশি বপন করেছেন লাল শাক। তার এ ক্ষেত এখন বাসন্তী হাওয়ায় রক্তিম রঙে সেজেছে।

আতাউর রহমান ওরফে লালমিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। সরজমিনে দেখা যায়,  নীল আকাশের নিচে বিস্তৃর্ণ মাঠে রঙিন হয়ে উঠেছে লাল শাকের ক্ষেত। বসন্তের দক্ষিণা হাওয়ায় উঁকি দিচ্ছে শাকের গাছগুলো। এ ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছে লালমিয়া। দৃঢ় মনোবল নিয়ে জমিতে কাজ করছেন। যেন দিনবদলের স্বপ্ন বুনেছেন তিনি।

এ সময় কথা হয় কৃষক লালমিয়ার সঙ্গে।  তিনি জানান, ধান-ভুট্টাসহ নানা ধরণের শাক-সবজি আবাদ করেন। যুবক বয়স থেকে ফসলের মাঠে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে আসছেন। কৃষি ফসলের লাভে সংসার চলে তার।  এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।

অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বসন্তে চাষ করেছেন লাল শাক। ইতোমধ্যে হালকা সেচ ও সার-কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। আর কিছুদিন পরই ক্ষেত  থেকে তুলবেন লালশাক। লালমিয়া আরও জানান, একবিঘা উঁচু জমিতে লাল শাকের আবাদ করা হয়েছে। ভালো ফলনের আশা করা  হচ্ছে। এতে খরচ হয়ে প্রায় ৫ হাজার টাকা। বাজারে দাম ভালো থাকলে খরচ বাদে অন্তত ১৫ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান জানান, খরিপ মৌসুমে ৩০৫ হেক্টর জমিতে লাল শাক চাষ করেছেন কৃষকরা। তাদের লাভবান করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ