শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

যে গোনাহ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন প্রিয়নবী

যে গোনাহ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন প্রিয়নবী

গোনাহের পর ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে ভালোবাসেন। আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি ক্ষমা চান আপনার ও মুমিন নারী-পুরুষের দোষ-ত্রুটির জন্য।’ (সুরা মুহাম্মদ : আয়াত ১৯)

হাদিসে এসেছে মানুষ যদি গোনাহ না করত আল্লাহ এ জাতিকে ধ্বংস করে দিয়ে অন্য জাতি নিয়ে আসতেন। যাতে তারা গোনাহ করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তবে সব গোনাহের ব্যাপারে মুমিন মুসলমানকে সতর্ক থাকতে হবে।

এমন কিছু গোনাহের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক। যেগুলো হাদিসের পরিভাষায় সবচেয়ে বড় গোনাহ। যে ব্যাপারে প্রিয়নবি সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছন।

একবার হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জানতে চাইলেন যে, ইয়া রাসুলুল্লাহ! সবচেয়ে বড় গোনাহ কী? অতঃপর প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদিসটি বর্ণনা করেন-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবচেয়ে বড় গোনাহ কোনটি? তিনি বললেন-

> কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করা অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।
অতপর তিনি বললেন, তারপর কোনটি? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-
> তোমার সঙ্গে খাবে, এ ভয়ে সন্তানকে হত্যা করা।
তিনি আবার বললেন, তারপর কোনটি? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-
> তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে জিনা (ব্যভিচার) করা।
তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথার সত্যতা ঘোষণা করে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন- ‘আর যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো ইলাহকে ডাকে না।’ (বুখারি)

প্রথম কথা হলো
আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা যাবে না। এটা সবচেয়ে বড় গোনাহ। যা আল্লাহ তাআলা কখনো ক্ষমা করবেন না।

দ্বিতীয়ত
নিজেদের সন্তানকে হত্যা করাও সবচেয়ে বড় অপরাধ। অনেক সময় দেখা যায়, গর্ভে সন্তান চলে আসে, বিভিন্ন অজুহাতে বাবা-মা কিংবা পরিবারের সদস্যরা সে সন্তানকে অকালে গর্ভপাতের মাধ্যমে নষ্ট করে ফেলে। যা কোনোভাবেই উচিত নয়। কেননা এটি সবচেয়ে বড় গোনাহের একটি।

তৃতীয়ত
জিনার মতো মারাত্মক অপরাধ থেকে বিরত থাকা। কেননা নারী পুরুষের চারিত্রিক পবিত্রতা ও শৃঙ্খলার জন্য আল্লাহ তাআলা বিয়ের ব্যবস্থা রেখেছেন। তা সত্ত্বেও অন্যের স্ত্রীর প্রতি কুদৃষ্টি ও অবৈধ মেলামেশা করা। ইসলাম এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না। বরং এ পর্যায়ের জিনাকারীর শাস্তি পাথর মেরে হত্যা করার বিধান প্রণয়ন করেছে ইসলাম।

সুতরাং আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক না করে, সন্তান হত্যা না করে জিনা-ব্যাভিচারে লিপ্ত না হয়ে অন্তরে আল্লাহ ভয় ও ভালোবাসা পোষণ করাই ঈমানদারের একমাত্র কাজ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত সবচেয়ে বড় গোনাহগুলো থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু