বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মা কে হারিয়ে নির্বাক সদ্যজম্মা শিশু, এ দায়কার

মা কে হারিয়ে নির্বাক সদ্যজম্মা শিশু, এ দায়কার

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার মা ক্লিনিক এন্ড নাসিং হোম এ ১৫ ফেব্রয়ারী মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় ভর্তি হয় এ সদ্যজাত শিশু ও তার মা আয়শা বেগম (৩২)। মায়ের সিজার করে তাকে দুনিয়ার মুখ দেখানো গেলেও তার মাকে দুনিয়া ছাড়তে হয়। সিজারের অধিক রক্তক্ষরণের ফলে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পরেরদিন সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার শুরুতেই জানা যায় সে মৃত।

উপজেলার সর্বত্র প্রতিনিয়ত এসব ক্লিনিকে এভাবে সিজার করা হচ্ছে। কেউ প্রানে বাঁচে কেউ প্রান হারিয়ে দুনিয়া ছাড়ে সদ্যজাতরা অনাথ হয়ে পড়ে তাতে কার কি? নানা আইন জটিলতার ভয়ে এসব প্রানহানির হয় না কোন বিচার আচার। সদ্যজাত এসব শিশুকে নির্বাক হয়ে শুধু দেখে তাকিয়ে থাকে সমাজের মানুষ গুলোর দিকে ভিন্ন ভঙ্গি ও আকৃতিতে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে প্রান হারানোর দায় কে নিবে।

সদ্যজাত শিশুর মা আয়শা বেগমের শশুর বাড়ী গৃধারীপুরে সে ওই গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী। ঘোড়াঘাট খোলাহাটি গ্রামে তার বাবার বাড়ী। মৃত আয়শা বেগমের আরো একটি ৪ বছর বয়সি কন্যা সন্তান রয়েছে। আয়শার স্বামী স্বপন ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, গত ১৬ ফেব্রয়ারী রাতে মা ক্লিনিকে ডাঃ ওয়াজেদ মিয়ার তত্ত্বাধানে সিজার করা হয় । সিজারের পর শিশু সুস্থ্য থাকলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মা আয়শা বেগম গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর সকালে রংপুরে নিলে তার আজ ১৭ ফেব্রয়ারী সোমবার মৃত্যু হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শশুরবাড়ী এলাকার স্থানীয়রা জানান,সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দিলে হয়তো আয়শা বেগম কে বাচানো সম্ভব হতো । উল্লেখ্য,উপজেলায় বিগত সময়ে এ ক্লিনিক সহ অন্যান্য ক্লিনিক গুলো চিকিৎসা সেবা বানিজ্যে এভাবে অনেকেই প্রান হারান।

কোনটা প্রকাশ হয় কোনটা হয় না। ঘটনা গুলো ঘটারপর আল্লার মাল আল্লায় নিয়েছে দোহাইয়ে রাতারাতি আপোষ মিমাংসাও হয় উভয়ের মাঝে। আরো জানা যায় প্রতি দশজনে এখনো এসব চিকিৎসা তিনজন প্রান হারায় সঠিক চিকিৎসা অভাবে।

 

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ