মরিচ চাষে লাভবান হচ্ছেন গাইবান্ধার চাষিরা
চলতি মৌসুমে গাইবান্ধায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। বাজার দর ভালো থাকায় মরিচ আবাদে লাভবান হয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। এ বছর জেলার ৫২৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে বিভিন্ন জাতের মরিচ।
গাইবান্ধার চর অঞ্চলসহ জেলার সাত উপজেলায় কম বেশি মরিচ আবাদ হয়ে থাকে। চলতি খরিপ মৌসুমে সব চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর ও গোবিন্দগঞ্জে। বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে চলছে শুধুই মরিচের আবাদ। যেদিকে চোখ যায় সেখানেই মিলবে মরিচ ক্ষেতের দেখা।
স্থানীয় জাতের পাশাপাশি বারি-১, অগ্নি, চৈতালী, সানিক, প্রিমিয়ার, বিন্দি মরিচের আবাদ হলেও কৃষকরা মাগুরার বর্ষালী মরিচের আবাদ করেছেন সবচেয়ে বেশি।
স্থানীয় মরিচ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও বিঘা প্রতি লাভ থাকছে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা।
চাষিরা জানান, চৈত্র মাসের শুরুতে মরিচ লাগানো শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া চলে ১৫ আষাঢ় পর্যন্ত। চৈত্রে লাগনো মরিচ বৈশাখে ফলন শুরু হয়। কিছু কিছু ক্ষেতে রোগ বালাই দেখা দিলেও শুরু থেকেই এবার মরিচের উৎপাদনের ভলো হয়েছে। সেইসঙ্গে বাজারদর ভালো পাওয়ায় এবার আবাদে লাভবান হয়েছেন স্থানীয় কৃষক।
মরিচ চাষিরা জানান, এ বছর শুরুতে বাজার দর কিছুটা কম থাকলেও এখন প্রতি মণ মরিচ তিন হাজার টাকা থেকে তিন হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বর্ষা হলে মরিচ ভালো হয় বলে জানালেন এক নারী চাষি। এবার আশপাশের সবার জমিতেই মরিচের ফলন ভালো হয়েছে বলেও জানান তিনি। আরেকজন জানালেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে মরিচ চাষে লাভ তুলনামূলক বেশি থাকে। সে কারণে এই সবজি চাষে তাদের আগ্রহও বেশি।
কৃষকরা যেন মরিচ আবাদে আর্থিক ক্ষতির শিকার না হয় এবং সেই সঙ্গে ক্ষেতে রোগ বালাই দমনে মরিচ চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছাহেরা বানু জানান, রোগ বালাই যেন মরিচের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছেন তারা। জেলায় এ বছর ৫২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক গাইবান্ধা