বৈশাখী ভাতা পেলেন সরকারি কর্মচারীরা
বাংলা নতুন বছরকে আনন্দমুখর করতে গত কয়েক বছরে ধরে নববর্ষ ভাতা দিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও নববর্ষ ভাতা পেলেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অর্থবিভাগ সূত্র জানায়, সাধারণত বৈশাখী ভাতা বেতনের সঙ্গে দেয়া হয় না, উৎসব ভাতা-বৈশাখী ভাতা আলাদাভাবেই দেয়া হয়। যেহেতু এখন অনলাইন সিস্টেম, এই ভাতার বিল প্রথমে সাবমিট করতে হয়। বিল সাবমিট করার পর অ্যাকাউন্টস অফিস পাস করবে, পাস করলেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। যিনি বিল সাবমিট করছেন তিনিই ভাতার টাকা পেয়ে যাচ্ছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও আজ বৈশাখী ভাতা পেলাম। উৎসবে শামিল হতে সরকারের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। কয়েক বছরে ধরেই বৈশাখী ভাতা পাচ্ছি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নববর্ষ ভাতার আলাদা কোড আছে। ১৪ এপ্রিলের আগেই বিল করে সাধারণত বিলটি তোলা যায়। তবে বিল সাবমিট করার পরই অ্যাকাউন্টস বিভাগ থেকে তা পাস করার পর বিলটি পাওয়া যায়। গত বছর ১০ এপ্রিল নববর্ষ ভাতা পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এ বছরও ভাতা পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঘোষিত জাতীয় বেতন কাঠামোতে প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ ভাতা চালু হয়। এটি কার্যকর ধরা হয় ওই বছরের পহেলা জুলাই থেকে। সে অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাংলা নববর্ষ ভাতা পেয়ে আসছেন। পাশাপাশি কিছু সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিকপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এ ভাতা দিয়ে আসছে।
দৈনিক গাইবান্ধা