বিএনপিই স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির জনক: ওবায়দুল কাদের
গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে বিএনপিই কৃত্রিম বাধা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির একদিকে নির্বাচনবিমুখ রাজনীতি করছে, অপরদিকে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখায় দেশের গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খাচ্ছে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত বিষয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার অধিকার কারো নেই। বিএনপিই এ দেশে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির জনক।
সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ইচ্ছেমতো রচনা করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে তাদের নেতৃত্বে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী অপশক্তি যেভাবে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে, তার বিপরীতে নতুন প্রজন্ম এখন সত্যিকারের ইতিহাস জানতে পারছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কারা মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে সপরিবারে হত্যার বেনিফিশিয়ারি, কারা এ দেশে খুনিদের বিচার চাওয়ার অধিকার হরণ করেছিল- তা নতুন প্রজন্ম জানতে পারছে বলে বিএনপির গা-জ্বালা শুরু হয়েছে। বিএনপি মুখোশের আড়ালে স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের পৃষ্ঠপোষক বলেও জানান তিনি।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে চতুর্থ ধাপের ৫৫টি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগের তিন ধাপের নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আগামীকালের নির্বাচনও সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সরকার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করবে না। একটি অংশগ্রহণমূলক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশন স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে বরাবরের মতো আগামীকালও সক্রিয় থাকবে।
ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রচরণায় কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগমের একটি বক্তব্য পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, তার সঙ্গে এ নিয়ে প্রকৃত তথ্য জানতে কথা হয়। তার বক্তব্যের অডিও এবং ভিডিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। কোনো অরাজনৈতিক বক্তব্য যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।
দৈনিক গাইবান্ধা