শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

বিএনপি প্রার্থীর পোস্টারে সাজাপ্রাপ্ত আসামির ছবি কেন!

বিএনপি প্রার্থীর পোস্টারে সাজাপ্রাপ্ত আসামির ছবি কেন!

নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়ার ছবি দিয়ে কিভাবে পোস্টার করেছে-নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার প্রশ্ন? 

মঙ্গলবার বিকেলে সেগুনবাগিচার কচিকাচার মেলার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের’ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের সভাপতি সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- গীতিকার সাফাত খৈয়াম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান সুলতান।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব আলীকে উদ্দেশ্য করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে যখন নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা থেকে লেভেল প্লেয়িং নিয়ে কথা হচ্ছে। মাহবুব আলী সাহেব আপনি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ নিয়েছেন, লেভেল প্লয়িং বলতে আমরা কি বুঝি? দণ্ডপ্রাপ্ত, অপরাধীর ছবি পোস্টারে দিয়ে নির্বাচন করার অধিকার নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, একজন অপরাধীর ছবি সংবলিত পোস্টার কিভাবে করা হয়? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা নির্বাচন করবে আর সেই নির্বাচনে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সেই নির্বাচন কখনও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে না। লেভেল প্লেয়িং তখনই হবে যখন একজন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের আরেকজন নির্বাচন করবে।

তিনি আরো বলেন, অপরাধীর ছবি সংবলিত পোস্টার দিয়ে নির্বাচন করার অধিকার নেই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তখন ঘাতকরা নির্মম ভাবে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের। মনে অনেক কষ্ট থাকার পরেও আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী আর স্বাধীনতাবিরোধী যারা আছে তাদেরকে মেনে নিতে পারবো না। বাংলার মানুষ কখনও এই স্বাধীনতা বিরোধীদের মেনে নেবে না।

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা স্বাধীনতার সুখ তখনই অনুভব করবো, যখন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ হবে। আমরা স্বাধীনতার সুখ তখনই অনুভব করবো যখন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পদার্পণ করবে। এই স্বাধীনতার সুখ অনুভব করার সবচেয়ে বড় অন্তরায় হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। তাদেরকে শুধু দমন করলে হবে না, তাদেরকে শুধু নিয়ন্ত্রণ করলে হবে না। তাদেরকে চিরতরে নির্মূল করার মধ্য দিয়ে আমাদের এই নিরন্তর সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ