শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলাদেশে নিষিদ্ধ পিরানহা-আফ্রিকান মাগুর মাছ চেনার উপায়

বাংলাদেশে নিষিদ্ধ পিরানহা-আফ্রিকান মাগুর মাছ চেনার উপায়

বাংলাদেশে রাক্ষুসে স্বভাবের পিরানহা-আফ্রিকান মাগুর মাছের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে সরকার। এ দুটি মাছকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও দেশের বাজারে পিরানহা-আফ্রিকান মাগুর মাছ প্রকাশ্যে উৎপাদন ও খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

পিরানহাকে থাই রূপচাঁদা বা সামুদ্রিক চান্দা নামে বিক্রি করা হয়। আর আকারে ছোট আফ্রিকান মাগুরকে দেশি মাগুর মাছ বলে বিক্রি করা হয়। মাছ দুটির দাম কম থাকায় দেদারছে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের প্রতারণা থেকে বাঁচাতে পিরানহা-আফ্রিকান মাগুর মাছ চেনার ১০ উপায় তুলে ধরা হলো:- 

পিরানহা মাছ চেনার উপায়:

* পিরানহা মাছের তীক্ষ্ণ দাঁত দেখা যাবে।

* পিরানহা মাছের কানকো থাকে। রূপচাঁদা মাছের কানকো মেশানো থাকে।

* পিরানহা মাছের লেজের কাছে ছোট আরেকটি পাখনা বা এডিপোজ পাখনা থাকে। রূপচাঁদা মাছের এমন কোন পাখনা নেই।

* গায়ের রং কিছুটা লালচে ও ধুসর বর্ণের হয়। রূপচাঁদার মতো চকচকে থাকে না।

* পিরানহা মূলত স্বাদু পানির মাছ। রূপচাঁদা সামুদ্রিক মাছ।

* জ্যান্ত পিরানহা মাছের স্বভাব রাক্ষুসে প্রকৃতির। রূপচাঁদা অনেক নিরীহ মাছ।

আফ্রিকান মাগুর মাছ চেনার উপায়:

*আফ্রিকার মাগুর মাছ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নোংরা পানিতে চাষ হওয়ায় গায়ে কালো কালো ছোপ থাকতে পারে। যেটা দেশি মাগুরে নেই।

*এছাড়া খেয়াল করতে দেখা যায় আফ্রিকান মাগুর মাছ কিছুটা ছাই বর্ণের হয় এবং পেটের দিকটা ধূসর সাদা রঙের থাকে। কিন্তু দেশি মাগুর মাছ কালচে এবং পেটের দিক হলদে বর্ণের হয়ে থাকে।

*আফ্রিকান মাগুরের মাথা দেশি মাগুরের মতো সূচালো হয় না।

*আফ্রিকার মাগুরের মাথা ও পেট বড় ও চোয়াল বিস্তৃত থাকে। দেশি মাগুর মাছের এমনটা থাকে না।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ