শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ১৪ মার্চ ২০২০

প্রাণঘাতী করোনায় বিশ্বকে আশা দেখাচ্ছেন বাঙালি গবেষক

প্রাণঘাতী করোনায় বিশ্বকে আশা দেখাচ্ছেন বাঙালি গবেষক

প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ উৎপত্তিস্থল চীন থেকে ছড়িয়ে পড়েছে ১২৪টি দেশে। এরইমধ্যে ইউরোপে রূপ নিয়েছে মহামারির। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনো এর প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। ভাইরাসটির চরিত্র নিয়মিত পরিবর্তনশীল হওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে গবেষকদেরও। তবে এই গবেষণা আরো এগিয়ে প্রতিষেধক তৈরিতে বিশ্বকে আশার আলো দেখাচ্ছেন একজন বাঙালি গবেষক।

কানাডার ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ বিষয়ে আশা দেখিয়েছেন গোটা বিশ্বকে। এ গবেষকদের দলে অন্যান্যদের মধ্যে আছেন বাঙালি গবেষক ড. অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভারতের নাগরিক। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- ড. রবার্ট কোজাক ও ড. সামিরা মোবারাকা।

অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় টরোন্টোর ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামিত রোগ বিভাগের গবেষক। এই বিভাগ সংক্রামিত রোগ, করোনা ভাইরাসের মতো মহামারী আর বাদুড় থেকে সংক্রামিত রোগ নিয়ে গবেষণা করে থাকে।

জানা গেছে, এই গবেষকের দল কোভিড-১৯-এর চরিত্র চিত্রণ করতে (They can isolates the virus) সমর্থ হয়েছে। ফলে খুব দ্রুত একে নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হবেন গবেষকরা। তৈরি করা যাবে প্রতিষেধক। দু’জন রোগীর লালারস ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে কিছুটা হলেও করোনাকে জব্দ করার হদিশ খুঁজে পেয়েছেন তারা।

তাদের এই কাজ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? এই প্রশ্নের জবাবে ওই বাঙালি বিজ্ঞানী বলেছেন, যতক্ষণ না ভাইরাসের ডিএনএ নমুনা হাতে পাচ্ছি, ততক্ষণ কতটা কার্যকরী বলা মুশকিল। 

খানিকটা স্মৃতিমেদুর হয়ে অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কৈশোরে আমি সবসময় বন্ধুদের বলতাম, সংক্রমণ ছড়ালেই যাতে আমার ডাক পড়ে। বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের প্রকোপে যা হচ্ছে তা দুঃখজনক, জানিয়েছেন এ বাঙালি গবেষক। 

অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই সংকটের মুহূর্তে মানবজীবন রক্ষায় অবদান রাখতে পারছি। মহামারী প্রতিরোধে উদ্যোগ নিতে পারছি- এজন্য আমি গর্বিত।

অরিঞ্জয়ের সহ-গবেষক চিকিৎসক সামিরা মোবারাকা বলেন, করোনা প্রতিরোধের প্রতিষেধক তৈরি করার লক্ষেই এগোচ্ছে আমাদের দল। এই চিকিৎসক মোবারাকা, অণুজীব বিজ্ঞানী এবং সংক্রামিত রোগ নিরাময়ের গবেষক।

সংবাদ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৪৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন  প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৮১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭২ হাজার ৫৩২ জন।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু