বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:২০, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

পেঁয়াজ কাটলে ইয়াবা, লাউ কাটলেই ফেনসিডিল!

পেঁয়াজ কাটলে ইয়াবা, লাউ কাটলেই ফেনসিডিল!

কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন অভিনব পদ্ধতিতে দেশে ঢুকছে বিপুল পরিমাণ মাদক। মাদক চোরাচালানের পাশাপাশি কুমিল্লাসহ এর আশপাশের জেলাগুলোতে মাদকাসক্তের সংখ্যাও বেড়েছে।

এসব অভিনব পদ্ধতির মধ্যে ভারত থেকে গরুর পেটের সঙ্গে বেঁধে আনা হচ্ছে গাঁজা। চোরাচালানীদের ভাষায় এটি হলো ‘ক্যাটল কেরিং’। এছাড়া বড় পেঁয়াজের ভেতরের অংশ ফেলে দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে আনা হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট। কনডমের মাধ্যমেও ইয়াবা মানুষের মুখ বা পায়ূপথ দিয়ে পেটে ঢুকিয়ে আনা হচ্ছে।

এছাড়াও কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের মৌসুমী ফল তরমুজ, কাঁঠাল, লাউ, কুমড়ার ভেতর ঢুকিয়ে ভারত থেকে আনা হচ্ছে ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য। 

কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, বিয়ার, বিভিন্ন ধরনের মদ, রিকোডেক্স সিরাপসহ নানা প্রকার মাদক, উত্তেজক ট্যাবলেট এবং বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় ইনজেকশন।

এ বিষয়ে কুমিল্লার মাদকদ্রব্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও ইয়াবা ট্যাবলেট মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হতো। বর্তমানে মিয়ানমার থেকে সরাসরি ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে কুমিল্লায় ঢুকছে।

তিনি আরো বলেন, চোরাকারবারীদের নতুন নতুন কৌশলের কারণে আমরা পাল্টা কৌশল নিচ্ছি। মাদকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের প্রয়াস সার্বক্ষণিক থাকবে। 
 

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ