নানা রোগের সমাধান ‘কাঁকরোল’
কাঁকরোল গ্রীষ্মকালীন সবজি। পুষ্টিকর হলেও অনেকের অপছন্দের তালিকায় থাকে এই সবজিটি। এই সবজি বিভিন্ন রোগ থেকে সহজেই মুক্তি দেয়। কাঁকরোল সম্পূর্ণ পাকার আগে ভেজে অথবা রান্না করে খাওয়া হয়। এতে অন্যান্য সবজির তুলনায় বেশি পরিমাণে আমিষ থাকে যা মানুষের দৈহিক গঠনের জন্য খুবই দরকারি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কাঁকরোলের গুণাবলী-
১. পাইলসের সমস্যা থাকলে পাঁচ গ্রাম কাঁকরোল বাটার সঙ্গে পাঁচ গ্রাম চিনি মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করুন, পাইলস নিরাময় হবে।
২. কাঁকরোল ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সাহায্য করে। গর্ভকালীন সময়ে অনেকের স্নায়ুবিক ত্রুটি দেখা দেয়। কাঁকরোল ভিটামিন বি ও সি-এর ভালো উৎস। যা কোষের গঠন ও নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। ফলে স্নায়ুবিক ত্রুটি হয় না।
৩. গোসলের সময় কাঁকরোল বেটে নিয়ে স্ক্রাব হিসেবে গায়ে মাখুন, ১০ মিনিট শরীরে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঘামের দুর্গন্ধ কমে যাবে এবং ত্বক ভালো থাকে।
৪. কাঁকরোলে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। এতে রয়েছে ফাইবার, মিনারেল, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
৫. কাঁকরোল ভিটামিন সি পরিপূর্ণ হওয়ায় প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টরূপে কাজ করে। যা শরীরের টক্সিন দূর করে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৬. কাঁকরোলে আছে বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, লিউটেইন, যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না, ত্বককে করে তারুণ্যদীপ্ত।
৭. কাঁকরোলের ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৮. জ্বর হলে কাঁকরোল পাতার রস কিছু সময় সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে পান করুন, জ্বর কমে যাবে।
৯. কাঁকরোলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট, পলিপেপটিড-পি ও উদ্ভিজ্জ ইনসুলিন আছে। যা ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে যকৃৎ, পেশী ও শরীরের মেদবহুল অংশে গ্লাইকোজেন সংশ্লেষণ করে।
১০. কাশি হলে তিন গ্রাম কাঁকরোল বাটা কুসুম গরম জলে মিশিয়ে দিনে তিনবার পান করুন, কাশি কমবে।
১১. শ্বাসকষ্ট হলে ২৫০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম কাঁকরোলের শেকড় বাটার সঙ্গে এক চা চামচ আদার রস ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খান, আরাম পাবেন।
১২. কিডনিতে পাথর হলে ১০ গ্রাম কাঁকরোল বাটা এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে পান করলে সমস্যা দ্রুত সারে।
দৈনিক গাইবান্ধা