শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:৩২, ২৭ আগস্ট ২০২০

ধেয়ে আসছে গ্রহাণু, পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা

ধেয়ে আসছে গ্রহাণু, পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা

গোটা বিশ্ব এখন মহামারীর গ্রাসে। প্রতিদিন ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। গোটা বিশ্বের নজর এখন ভ্যাকসিনের দিকে। কিন্তু কবে সেই ভ্যাকসিন দেয়া হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে। কিন্তু ২০২০-তে কি শুধুই করোনা! করোনা ছাড়াও একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে।

কখনো ধেয়ে আসছে বিশাল বালিঝড় তো আবার কখনো ঘটছে বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। তবে ফের একবার আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে নাসা। পৃথিবীর খুব কাছে আসতে চলেছে একটি গ্রহাণু। বিজ্ঞানীরা একে সম্বোধন করছেন ২০১৮ ভিপিআই হিসেবে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মার্কিন নির্বাচন যখন চলবে তখন এই গ্রহাণু ক্রমশ পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে। এর ফলে ভুখণ্ডের কতটা ক্ষতি হতে পারে তা এখনো নিশ্চিত নন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহাণু কি পৃথিবীকে স্পর্শ করতে পারে? সেটা খুঁজে বারা করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মার্কিন এই গবেষণা সংস্থার কাছে।

তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, ধেয়ে আসা গ্রহাণুর ব্যাস অবশ্য খুব বেশি নয়। আনুমানিক প্রায় ছয় ফুটের মতো হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে আরো পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

তবে নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন একেবারে পৃথিবীকে শরীর ছুঁয়ে যাবে এই গ্রহাণু! ফলে কিছুটা হলেও ভুখণ্ডে এটি আছড়ে পড়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছে নাসা। তবে এতে বড়সড় কোনও প্রভাবের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকায় নির্বাচন। তার ঠিক আগেই ওই গ্রহাণু চলে আসছে পৃথিবীর কাছাকাছি। উলেখ্য, ২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার পালোরমার অবজারভেটরিতে প্রথমবার এই গ্রহাণুর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারা যায়। সেই থেকেই মহাকাশ গবেষকরা এই স্পেস-রকটির উপর নজর রাখছিলেন।

মাসখানেক আগে কপাল জোরে কার্যত রক্ষা পায় পৃথিবী। আটটি আর্থ অবজেক্ট পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। প্রথমে পাঁচটি গ্রহাণুর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসার কথা বলা হয়েছিল।

যদিও পরে ধাপে ধাপে আটটি বিশাল আকারের গ্রহাণু ধেয়ে আসে পৃথিবীর দিকে। প্রত্যেকটি কার্যত পৃথিবীর একেবারে গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। তবে নতুন করে আরো একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসার খবর চিন্তার ভাঁজ মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কপালে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ