বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ || ৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ৩ জুলাই ২০২০

জুনেই প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড

জুনেই প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড

রোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। প্রবাসীদের আয় তুলনামূলক কমে গেছে। তা ছাপিয়েও জুনে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে। যার পরিমাণ ১৮৩ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ। 

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছর (২০১৯-২০) শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩৬ বিলিয়ন ডলারের (তিন হাজার ৬০০ কোটি) মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এর আগে কোনো অর্থবছরে এতো বেশি অর্থ প্রবাসীরা পাঠাননি। আগের অর্থবছরের তুলনায় রেমিটেন্স বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রবাসী আয়ে সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করায় বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ বোধ করছে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা।

করোনার সংকটের মধ্যে জুনে তিন দফায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নতুন রেকর্ড গড়েছে। প্রায় তিনবছর পর গত ৩ জুন রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। এরপর ২৪ জুন ৩৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। সর্বশেষ ৩০ জুন ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০১ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, করোনার কারণে আমদানি-রফতানি কম থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার আয় যেমন কম ছিল তেমনি ব্যয়ও কম ছিল। তবে শেষ সময়ে এসে রেমিট্যান্স বেড়েছে হু হু করে।

রেমিট্যান্সের বিদ্যমান ধারা অব্যাহত থাকলে এ মাসের মধ্যেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় এই উল্লম্ফনের কারণে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে বলে জানান ছাইদুর রহমান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২৯ জুন রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৫৯১ কোটি ডলার। আর ৩০ জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০১ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ২৭১ কোটি ডলার।

২০১৭ সালের ২২ জুন রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। অর্থাৎ তিনবছরে রিজার্ভ বেড়েছে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার। আর জুন মাসেই রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। ২০১৫-১৬ সালে রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ১৬ কোটি ডলার। পরের বছর হয় ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ডলার। পরের দুই বছর ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারের ঘরে রিজার্ভ উঠানামা করেছে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনসুইজারল্যান্ডে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় কিবৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলাসবাই ঈদের নামাজে গেলে শাহনাজের ঘরে ঢুকে প্রেমিক রাজু, অতঃপর...