জামায়াত-বিএনপির দেশবিরোধী এজেন্ডা নিয়ে মাঠে আল-জাজিরা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুয়া খবর প্রকাশ করে বিতর্কের শীর্ষে রয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে জামায়াত-বিএনপির দেশবিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে বিতর্কিত এই সংবাদমাধ্যমটি।

জানা গেছে, যেকোনো দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি কিংবা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই হচ্ছে আল-জাজিরা মূল কাজ। এরই মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি কিংবা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগে সৌদিআরবসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভুয়া খবর পাঠিয়ে প্রকাশ করানোর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আল-জাজিরার অনেক সাংবাদিক আটক হয়েছেন।

সেই আল-জাজিরা জামায়াত-বিএনপির মদদে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল সৃষ্টি কিংবা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মিশনে নেমেছে। সংবাদমাধ্যমটি বাংলাদেশের যেকোনো সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক আন্দোলন, ইস্যু ও সংকট নিয়ে ভিত্তিহীন চটকদার শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।

আল-জাজিরার খবর বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ছয় বছর আগে যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায়ের পর মরিয়া হয়ে ওঠে কাতার ভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি। পরদিনই জামায়াতের নিয়োগ করা লবিস্ট টবি ক্যাডম্যান ও ডেভিড বার্গম্যানকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। 

হোয়াটস বিহাইন্ড বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস ট্রায়াল নামক ওই অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নানা বক্তব্য দেন টবি ও বার্গম্যান। যুদ্ধাপরাধের বিচারে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সমান সুযোগ পেলেও এক তরফা বিচার বলে প্রচার করেছে তারা।

এছাড়া বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরতে একের পর এক বিতর্কিত প্রতিবেদন করেছে আল-জাজিরা। যার অধিকাংশই করেছেন বিতর্কিত সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান।

শুধু যুদ্ধাপরাধ ইস্যু নয়, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, এমনকি রোহিঙ্গা ইস্যুতেও নেতিবাচক খবর প্রচার করেছে সংবাদমাধ্যমটি। নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে পুঁজি করে আল-জাজিরাতে একের পর এক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা সমালোচনা করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় সরকার বিরোধীদের।

এছাড়া বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র‌্যাবকে জড়িয়ে বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গুম ও খুনের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনও প্রচার করে আসছে আল-জাজিরা।