জমায়েত না করে ত্রাণ সহায়তার পরামর্শ কাদেরের

করোনাভাইরাসের কারণে সংকটে থাকা নিম্নআয়ের মানুষকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে গিয়ে গণজমায়েত সৃষ্টি হওয়াকে বিপদজনক বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ত্রাণ সহায়তার সময় অধিক জমায়েত না করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন তিনি। শনিবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা বিশ্বে করোনা ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। এ পর্যন্ত ১১ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এই প্রাণঘাতি ভাইরাসে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। আমাদের দেশ তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো। আজকে ইতালি স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্সের মতো দেশে যে ভয়াবহ অবস্থা সে তুলনায় আল্লাহর রহমতে আমরা অনেক ভালো আছি।’

মানুষকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৩১টি নির্দেশনা মেনে আমরা সবাই একযোগে সংঘবদ্ধভাবে এই অদৃশ্য শক্তির মোকাবিলা করে চলেছি। ঘরে আমরা সুরক্ষার সামগ্রী নিয়ে সুরক্ষিত থাকবো। বাইরে অদৃশ্য শক্তি করোনারমোকাবিলা করতে হলে ঘরে ঘরে সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের কোনো অবস্থাতেই শঙ্কিত হলে চলবে না, সতর্ক থাকতে হবে।’

ত্রাণ বিতরকারীদের সতর্ক করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে গিয়ে অধিকতর বিপদজনক পথ বেছে না নেই। কোনো অবস্থাতেই জমায়েত করা যাবে না। এই ব্যাপারে প্রশাসন, সেনাবাহিনী পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যে দায়িত্ব পালন করছে তাদের সাহায্য করতে হবে।’

ভবিষ্যতের সুদিনের জন্য সাময়িক কষ্ট করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান আমাদের সুদিনের প্রত্যাশায় সাময়িক যে কষ্ট-ত্যাগ সেটা মেনে চলতে হবে। দেশবাসী যাতে মেনে চলে। ভবিষ্যতের জন্য ত্যাগ-স্বীকার করবো এটা যেন আমাদের মাথায় থাকে।’

‘এই অবস্থা মেনে আমরা যদি এগিয়ে যাই, তাহলে আমাদের দেশের অবস্থা হয়তো ভালোর দিকে যাবে। স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়মকানুন মেনে চললে অবশ্যই আমরা এই মহাসংকট থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবো। নিজেদের জীবন ও জানমাল আমরা রক্ষা করতে পারবো।–যোগ করেন কাদের।