শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

চাকরিতে বয়স ছাড় দিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ

চাকরিতে বয়স ছাড় দিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল। এতে চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষিত বেকাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দিয়েছে সরকার। বয়সে ছাড় দিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চিঠিতে ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদের আবেদনের যোগ্য বিবেচনা করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, বিসিএস ছাড়া সরকারি চাকরিতে ২৫ মার্চের আগের নিয়োগের ছাড়পত্র দেয়াসহ সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে কয়েকটি দফতর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি। সেসব দফতরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৫ মার্চ তারিখের প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অনুরোধ জানানো হল।

চিঠির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ২৫ মার্চের আগে যেসব নিয়োগের ছাড়পত্র ছিল সেসব নিয়োগের ক্ষেত্রে এ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে। ২৫ মার্চের আগের অনুমোদিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলো পরবর্তী যে কোনো মাসে প্রকাশ হোক না কেন, ২৫ মার্চকে সর্বোচ্চ বয়সসীমা অর্থাৎ ৩০ বছর ধরা হবে। এতে চাকরি প্রত্যাশীরা করোনাকালে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন। করোনাকালে ছুটিতে চাকরিপ্রত্যাশীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রার্থীরা।

৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ সরকারি ছুটি শেষে জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ওই ছুটিকালে অফিস-আদালত বন্ধ ছাড়াও চাকরির বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে চাকরিপ্রত্যাশীদের বয়সে ছাড় দেয়ার উদ্যোগের কথা এর আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মঙ্গলবার ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, ২৬ মার্চের পর যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ চাকরির বিজ্ঞাপন দিতে পারেনি তারা ২৫ মার্চকে প্রার্থীর বয়স ৩০ বছর ধরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। এতে করে করোনাকালে যাদের বয়স ৩০ বছর পার হয়ে গেছে তারাও আবেদনটা করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু