শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ৭ মে ২০২১

গোবিন্দগঞ্জে কয়লা তৈরির অবৈধ কারখানা, দুর্ভোগে গ্রামবাসী

গোবিন্দগঞ্জে কয়লা তৈরির অবৈধ কারখানা, দুর্ভোগে গ্রামবাসী

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে  গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির দুটি কারখানা।

উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জীবনপুর ও গোপালপুর গ্রামে এ দুটি কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। এগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে কয়লা। ফলে একদিকে যেমন দূষিত হচ্ছে পরিবেশ অন্যদিকে গাছপালা ও বন উজার করা হচ্ছে। এছাড়াও কাঠ পোড়ানোয় পরিবেশ দূষিত হয়ে এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আর কয়লার বিষাক্ত ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসী।

জানা গেছে, উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের বাসিন্দা বকুল মিয়া রংপুর চিনিকলের পূর্বপ্রাচীর ঘেঁষে এবং একই ইউপির গোপালপুর গ্রামে বেলাল হোসেন পল্লীবিদ্যুৎ উপকেন্দ্র এলাকায় গড়ে তুলেছেন কয়লা কারখানা। বেলাল হোসেন গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।কারখানাগুলো ঘনবসতি এলাকায় হওয়ায় কয়লার বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, যে ব্যক্তিরা কয়লা তৈরীর কারখানা দিয়েছেন তারা প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ কারণে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননা। দ্রুত কারখানা বন্ধসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

কথা হয় কারখানার এক মালিক বেলালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রায় ১ বছর হয়েছে কারখানাটি গড়া হয়েছে। এ পর্যন্ত এখানে কোন প্রশাসন আসেনি। মাঝেমধ্যে শুধুমাত্র সাংবাদিকেরাই এসেছে।’ 

আরেক মালিক বকুল মিয়া বলেন, ‘নিজের টাকায় কারখানা গড়েছি। আমি সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করছি। আপনাদের লেখার প্রয়োজন মনে হলে লিখেন।’ 

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মজিদুল ইসলাম বলেন, কাঠ পোড়ানোয় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়। মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে। শুধু তাই নয়, এতে চর্ম, ফুসফুসে ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও ঘটতে পারে।    

 উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ বলেন, পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনে এমন কারখানা চলতে দেওয়া যাবেনা। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ