গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের সুরক্ষা তত্ত্বে মারাত্মক আঘাত হেনেছি: হামাস
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, ইসরায়েল নিজেকে শতভাগ সুরক্ষিত ও অজেয় বলে যে দাবি করে সাম্প্রতিক ১২ দিনব্যাপী গাজা যুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো তার উৎসমূলে আঘাত হেনেছে। শুক্রবার হামাসের সিনিয়র নেতা মাহমুদ আজ-জাহার আরবি নিউজ চ্যানেল আল-মায়াদিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিরিয়া, লেবানন, হামাস ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর স্বার্থ একই সুতায় গাঁথা। সেই অভিন্ন স্বার্থ হচ্ছে ইসরাইলের পতনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা।
আজ-জাহার বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল নিজেকে অজেয় বলে দীর্ঘদিন ধরে যে দাবি করে আসছিল ‘শোর্ড অব গাজা’ যুদ্ধে তার অসারতা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এর পরবর্তী যুদ্ধের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে; কারণ, এবারের যুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ নিজেদের শক্তিমত্তা উপলব্ধি করেছে এবং বুঝতে পেরেছে তাদের পক্ষে নিজেদের অধিকার আদায় করা সম্ভব।
হামাসের এই সিনিয়র নেতা ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে উদ্দেশ করে বলেন, তেল আবিবকে যদি শান্তিতে থাকতে হয় তাহলে নয়া ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা যেন সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে আল-কুদস ও মসজিদুল আকসায় কোনো উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড না ঘটায়।
গত মে মাসের গোড়ার দিকে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরােএয়লি সেনাদের ব্যাপক দমন অভিযানের প্রতিবাদে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো। দখলদার ইসরায়েল টানা ১২ দিন ধরে গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়ে তার জবাব দেয়।
ইসরায়েল বিমান হামলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করতে থাকে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠন। তারা এই ১২ দিনে জেরুজালেম, তেল আবিব এমনকি দূরবর্তী হাইফা শহরে চার হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে ইহুদিবাদীদের অন্তরে কাঁপন ধরিয়ে দেয়।ফিলিস্তিনিদের রকেটের পাল্লা ও নিখুঁতভাবে আঘাত হানার ক্ষমতা দেখে তেল আবিব ১২ দিনের মাথায় যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়।
দৈনিক গাইবান্ধা