গাইবান্ধায় তুলসি চাষ : খরচ কম লাভ বেশি
গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে ঔষধি ফসল হিসেবে দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে তুলসির চাষ। পতিত জমিতে কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে তুলসি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন এখানকার চাষিরা।
চাষিরা জানান, বীজ বপনের চার থেকে সাড়ে চার মাসের মধ্যেই ওঠানো যায় তুলসি। ব্যবহার করতে হয় না কোনো সার বা কীটনাশক। এক শতক জমিতে এক মণ তুলসি উৎপাদিত হয়। এক বিঘা জমিতে ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হলেও লাভ হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে তুলসির চাষ।
স্থানীয় চাষিরা আরো জানান, প্রথমদিকে সবাই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলেও পরে তুলসি চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন সবাই। ওষুধ কোম্পানিগুলো শুকনো পাতা কিনে নিয়ে যায় বলে বিক্রি নিয়ে ভাবতে হয় না চাষিকে।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে তুলসির চাষ হয়েছে। এছাড়াও সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর ও সাঘাটাতেও তুলসি চাষ শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, মাঠপর্যায়ে তুলসিচাষিদের অনুপ্রেরণার পাশাপাশি ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
দৈনিক গাইবান্ধা