শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:১৬, ৩ নভেম্বর ২০১৯

গাইবান্ধায় গরীবের এ্যাম্বুলেন্স মানুষের মনজয় করেছে

গাইবান্ধায় গরীবের এ্যাম্বুলেন্স মানুষের মনজয় করেছে

জনপ্রতিনিধি না হয়েও নিজ উদ্যোগে ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসটি চালু করে এলাকার মানুষের মনজয় করেছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার শহিদুল ইসলাম। ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ শহিদুল ইসলামের এই সেবায় দারুণ মুগ্ধ।

গর্ভবতী ও অসহায় রোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তি উদ্যোগে তিনি চালু করেছেন গরিবের এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। শুরুটা অল্প দিনের হলেও গরিব ও অসহায় মানুষের কাছে তার এই ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উদাখালী ইউনিয়নের হতদরিদ্ররা বিনামূল্যে তিন চাকার ভ্যানে তৈরি এ্যাম্বুলেন্স সুবিধা পেয়ে উপকৃত হচ্ছে।

তার এই মহৎ উদ্যোগ এখন গর্ভবতী ও অসহায় গরিব মানুষের একমাত্র ভরসা হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। শহিদুল ইসলাম উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের উত্তর বুড়াইল গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের পুত্র।

শহিদুল ইসলাম বলেন, গরিব ও হতদরিদ্র মানুষের দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করেছেন ‘গরিবদের জন্য এ্যাম্বুলেন্স’ নামের ৫টি ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান।

যার মাধ্যমে উদাখালী ইউনিয়নের গরিব রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়াসহ চিকিৎসা কেন্দ্রে যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা হয়েছে। পূর্ব উদাখালী গ্রামের পাখি বেগম, দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের নবিরন বেগম, উত্তর বুড়াইল গ্রামের মোবারক হোসেন, রোস্তম আলী, কাঠুর গ্রামের লাল মিয়া, চাঁন মিয়া সহ একাধিক সুবিধা ভোগীরা বলেন, শহিদুল ইসলামের মহৎ উদ্যোগে আমরা কৃতজ্ঞ।

আগে আমাদের পরিবারের কোন সদস্য অসুস্থ হলে উপজেলা বা জেলার হাসপাতালে নিতে মাইক্রোবাস বা অন্যান্য পরিবহনে অনেক খরচ হতো। আবার বেশি টাকা দিয়েও সময় মতো রোগীকে হাসপাতালে নিতে পারতাম না।

শহিদুল ইসলাম গরিবের এ্যাম্বুলেন্স’ চালু হবার পর একদিকে আর্থিক সাশ্রয় ও অন্যদিকে তাৎক্ষনিক সেবা পাচ্ছি। গরিবের এ্যাম্বুলেন্সের চালক শফিকুল ইসলাম, বাহার আলী ও আলতাফ মিয়া বলেন অটো ভ্যানের মালিক শহিদুল ইসলাম তাদের কাছ থেকে কোন ভাড়া নেন না। তার নির্দেশে গর্ভবতী ও অসহায় গরিব রোগীদের স¤পূর্ণ বিনা খরচে পরিবহন সেবা দেয়া হচ্ছে।

এর বাইরে সাধারণ যাত্রী পরিবহন করে যে আয় হয় তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। শহিদুল ইসলাম বলেন, উদাখালী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় কেউ অসুস্থ হলে গাইবান্ধা শহর অথবা হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসতে সময় লেগে যায়। সময় মত এ্যাম্বুলেন্স পাওয়াও যায় না। আবার এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া জোগাড় করতে না পেরে অনেকে সু-চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। এসব ঘটনা আমার মনকে নাড়া দিলে আমি নিজ উদ্যোগে এ ব্যবস্থা করেছি। যার নাম দিয়েছি ‘গরিবের অ্যাম্বুলেন্স’।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ