গাইবান্ধায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলেন ২২ করোনাজয়ী
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর গাইবান্ধায় সেরে উঠেছেন ২২ জন। করোনা জয় করে সুস্থ হওয়া সবাই গাইবান্ধার বিভিন্ন করোনা আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরপর দু’টি টেস্টে তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাদের আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
গাইবান্ধায় গত দু’সপ্তাহে নতুন কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হননি। জেলায় মোট ২৪ জন আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন এবং তিনি ভালো আছেন। এছাড়া রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আক্রান্ত ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. এ.বি.এম আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. আবু হানিফ জানান, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা সন্দেহে মোট ৬৫৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুরে পাঠানো হয়েছে এরমধ্যে ৬১৬টি পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল অপেক্ষমান আছে ৪২টি।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন অফিসের করোনা কন্ট্রোল রুম জানায়, গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘন্টায় শনিবার (১৬ মে) করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩০১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় এসেছেন ৩ হাজার ৪০৪ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ জন। এ নিয়ে জেলায় কোয়ারেন্টাইন শেষে মোট ৩ হাজার ২৩৯ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ১১৮ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে বর্তমানে কেউ নেই।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রতিদিনের প্রেস রিলিজ সুত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় জেলার প্রস্তুতি হিসেবে ৭টি সরকারি হাসপাতালে মোট ৪শ’ ৮১টি ও ১৮টি বেসরকারি হাসপাতালে ১৯০টি বেড রয়েছে।
এরমধ্যে প্রস্ততকৃত বেডের সংখ্যা ১১৫টি ও বেসরকারি ১৯টি। এছাড়া জেলায় মোট ১শ’ ২৬ জন সরকারি ডাক্তার ও বেসরকারি ১৯ জন ডাক্তার বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন। সরকারি নার্স ১শ’ ৯০ জন এবং ১৯ জন বেসরকারি নার্সসহ দায়িত্ব পালন করছেন ২০৯ জন।
সরকারি চিকিৎসকদের জন্য ৪ হাজার ৯৬৫টি এবং বেসরকারি ১১০টি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মজুদ রয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ হাজার ২০৫টি পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। অপরদিকে ১১ হাজার ৯১টি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে এবং ৫ হাজার ২২৯টি মাস্ক মজুদ রয়েছে।
এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জরুরী চিকিৎসায় স্থানান্তরের জন্য ২টি এ্যাম্বুলেন্স ও ২টি মাইক্রোবাস সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রয়েছে।
দৈনিক গাইবান্ধা