শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১১:১৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

গাইবান্ধায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৯শ’ ৯ জন মানুষ

গাইবান্ধায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৯শ’ ৯ জন মানুষ

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এ ছাড়া পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সারি। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে গাইবান্ধায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।

এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১শ’ ১৭ জনে। এত মৃত্যু আর আক্রান্তের ভিড়ে সুস্থ হওয়ার খবরও মিলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে জেলায় সেরে উঠেছেন ৯শ’ ৯ জন। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন ১৯৪ জন। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসনের সবশেষ পরিসংখ্যানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

গাইবান্ধা জেলার করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগ থেকে জেলার সাত উপজেলায় সেরে উঠেছে ৯০৯ জন। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ২৭৮ জন, গাইবান্ধা সদরে ২৯৩ জন, পলাশবড়ীতে ৭৮ জন, সাদুল্লাপুরে ৮০ জন, সুন্দরগঞ্জে ৬৪ জন, সাঘাটায় ৬৬ জন ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৫০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এ ছাড়া সংখ্যাধিক্য অনুযায়ি বৃহস্পতিবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাইবান্ধা সদরে সবচেয়ে বেশি ৩৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে (এরমধ্যে পৌর এলাকায় ৩০২ জন)। এর পরের অবস্থানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পাওয়া গেছে ৩১১ জন (এরমধ্যে পৌর এলাকায় ১৭১ জন), পলাশবাড়ী উপজেলায় ৯৯ জন (এরমধ্যে পৌর এলাকায় ৫৮ জন), সাদুল্লাপুর উপজেলায় ৯৩ জন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৭৮ জন (এরমধ্যে পৌর এলাকায় ৩৩ জন), সাঘাটা উপজেলায় ৭৪ জন ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৬৬ জন।

গাইবান্ধায় বর্তমানে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ১৯৪ জনের মধ্যে ৯৯ জন গাইবান্ধা সদরে, গোবিন্দগঞ্জে ২৯ জন, পলাশবাড়ীতে ১৮ জন, ফুলছড়িতে ১৬ জন, সুন্দরগঞ্জে ১৩ জন, সাদুল্লাপুরে ১১ জন ও সাঘাটায় ৮ জন রয়েছেন।

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১৪ জন করোনা আক্রান্তরোগী মারা গেছেন। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ৪ জন, সদরে ৩ জন, সাদুল্লাপুরে ২ জন, পলাশবাড়ীতে ৪ জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ে স্থানীয়রা অনেকটাই অসচেতন। চলাচলে অসতর্কতা এবং সামাজিক দূরত্ব ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি কেউ সঠিকভাবে মেনে চলছেন না। সাধারণ মানুষ হাঁটবাজার, দোকানপাট ও রাস্তাঘাটে অবাধে চলাচল করছেন। চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কমেছে প্রশাসনের নজরদারিও। এতে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম দেখা দেওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

 

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু