গাইবান্ধায় ঈদগাহ মাঠে হচ্ছে না এবার ঈদ জামাত
করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে এবার রোজার ঈদের দিন ঈদগাহ বা খোলা জায়গার বদলে বাড়ির কাছে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে বলেছে সরকার। সেইসঙ্গে মসজিদে ঈদ জামাত আয়োজনের ক্ষেত্রে সুরক্ষার ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বেশ কিছু শর্ত দিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব নির্দেশনা না মানলে ‘আইনগত ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনার আলোকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন সম্পর্কিত এক জরুরী সভা সোমবার (১৮ মে) গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।
সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক গাইবান্ধার সর্বত্র আসন্ন ঈদ-উল ফিতরের নামাজ ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে অবশ্যই মসজিদে পড়তে হবে। মুসুল্লীদের মাস্ক পড়ে বাড়ি থেকে জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদের কোন কার্পেট ছাড়াই খোলা মেঝেতে নিজ নিজ জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। ওযুর স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান রাখতে হবে। শিশু ও বয়ো-বৃদ্ধদের মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। মসজিদে আগত মুসুল্লীরা যাতে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য প্রতিটি মসজিদ কমিটিকে একাধিক জামাতের নামাজ আয়োজন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া একটি সারি বাদ দিয়ে পাশাপাশি ৩ ফুট দূরত্বে দাঁড়িয়ে নামাজে অংশ নিতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার প্রধান ঈদের নামাজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে বড় মসজিদে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এবং ৯টা ৩০ মিনিটে দুটি জামাতে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ৬ এপ্রিল দেশের সব মসজিদে বাইরে থেকে মুসল্লি ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মসজিদের খাদেমরা মিলে মোট কতজন ভেতরে জামাতে অংশ নিতে পারবেন, তার সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। রোজার শুরুতে তারাবির নামাজের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এক মাসের মাথায় গত ৬ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে আবার জামাতে নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
সভায় গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র অ্যাড. শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্যাহ হারুন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাট্রিজের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদার রহমান শাহান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক, জেলা কৃষি অফিসার, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি কেএম রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, জেলা ইমাম সমিতির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক গাইবান্ধা