গাইবান্ধা মাদক ব্যবসায়ী এবং জুয়ারুসহ আটক ১৩
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এর নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা সংস্থার নিয়মিত বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামের ঝানঝাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জুয়া খেলা অবস্থায় ৫জন কে আটক করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এর নের্তৃত্বে সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ জহিরুল হক সংগীয় ফোর্সসহ অভিযান কালে (১) টিটু মিয়া (৪৫) পিতা- মৃত. মফিজুল ইসলাম, (২) সোনা মিয়া (৪০) পিতা- মৃত. কাশেম আলী, (৩) আবদার আলী (৫০) পিতা- মৃত. আবুল কাশেম, (৪) সুকুমার দাস (৪০) পিতা- মৃত. দেবী চরণ, (৫) শাহাবুদ্দিন জানু (৩৫) পিতা- সুলতান খান, সকলের বাড়ি ফুলছড়ি থানার আওতায় কাতলামারী গ্রামে। পুলিশ জানায়, জুয়া খেলা অবস্থায় খেলার উপকরণসহ সকলকে আটক করা হয়।
অপরদিকে, অভিযান থেকে ফেরা পথে সদর উপজেলাধীন বাদিয়াখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় জুয়া খেলা প্রস্তুতি কালে আরও ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
তারা হলেন- (১) মো. শাহিন মিয়া (৩৪) পিতা- আব্দুল সাত্তার, গ্রাম- রিফাইতপুর (২) শাহ আলম (৩৫) পিতা- মুনছুর আলী, (৩) মিন্টু মিয়া (৩০) পিতা- মৃত. জব্বার আলী, (৪) জাবেদ আলী (৩৫) পিতা- মৃত. কচিমুদ্দিন, সকলের গ্রাম- রামনাথের ভিটা (৫) সাওন মিয়া (২৯) পিতা- মৃত. বাবলু মিয়া, গ্রাম- রিফাইতপুর, (৬) আরশাদ মিয়া (২১) পিতা নুরুনবী, গ্রাম- ডিমলা পদুম শহর, থানা সাঘাটা, জেলা গাইবান্ধা।
অভিযান চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাঘাটা থানাধীণ ডিমলা পদুম শহরে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী আঃ রহিম মিয়া (৪২) ও তার স্ত্রী আরজিনা বেগম (৩৩) এর নিকট থেকে ১০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিমুলতাইড় এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ইয়াবা ব্যবসায়ী রাকিব (৩৫) পিতা-গোলাম মর্তুজা এর ঘরের বিছানার নিচে রাখা সিগারেটের প্যাকেট থেকে ১৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রাকিব ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে সাঘাটা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর- ৩৬(১) টেবিল ১০ (ক)/৪১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ১৪।
দৈনিক গাইবান্ধা