মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ || ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ২৮ আগস্ট ২০২০

গবেষণা: নিয়মিত যে মাছ খেলে তরুণ থাকবে মস্তিষ্ক

গবেষণা: নিয়মিত যে মাছ খেলে তরুণ থাকবে মস্তিষ্ক

আমাদের চারপাশের পরিবেশ নানা কারণে দূষিত হয়। এর মধ্যে বায়ু দূষণের কারণে পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও ব্রেনের ক্ষতি হয়। উচ্চ মাত্রায় দূষিত বায়ুতে দীর্ঘদিন বাস করলে মস্তিষ্ক বুড়িয়ে যায়। যা আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। তবে এই ক্ষতি পুষিয়ে মস্তিস্ককে তরুণ রাখতে সহায়তা করবে মাছ, এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা।  

আমেরিকান একাডেমি অব নিউরোলজির জার্নাল 'নিউরোলজি'তে প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে- উচ্চ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ গ্রহণ করলে মস্তিষ্কের এই ক্ষয় রোধ হয়।

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির এপিডেমিয়োলজি অ্যান্ড অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনেকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কায়ে নিউইয়োর্কে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন- মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে এবং বেশি বয়সে মস্তিষ্কের কাঠামো ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া নিউরোটক্সিন যেমন সীসা ও পারদের কারণে ব্রেনের ক্ষয় রোধ করে।

ডা. কাহে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ৩১৫ জন বয়স্ক নারীর বসবাসের এলাকার বায়ুর মান, তাদের খাদ্য তালিকা ও বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করে গবেষকরা এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। এসব তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি, সমীক্ষায় অংশ নেয়া নারীদের মস্তিষ্কে সূক্ষ্ম এমআরআই স্ক্যান করা হয়। ব্রেনের হিপ্পোক্যাম্পাস এরিয়ায় চালানো পরীক্ষায় দেখা হয় দূষিত বায়ু ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড গ্রহণের প্রভাব।

সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিশেষ করে তেল সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যালমন, সার্ডিন, ম্যাকরেল ইত্যাদি সপ্তাহে দুই দিন খেলে ব্রেনে সাদা পদার্থের পরিমাণ বাড়ে ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। উচ্চ পরিমাণে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খেলে দূষিত বায়ুর কারণে ব্রেনের সাদা পদার্থ ক্ষয় হওয়ার মাত্রা কমে যায়।

গবেষণায় আরো উঠে আসে, ব্যস্ত রাস্তার পাশে যাদের বাড়িঘর এবং এদের মধ্যে যারা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার কম খান তাদের ব্রেনে নিউরনের পরিমাণ কম। মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের দারুণ এক উৎস এবং এটি ডায়েট তালিকায় রাখা সহজ। তাই ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ নিয়মিত ডায়েট তালিকায় থাকলে বায়ু দূষনজনিত কারণে মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ সম্ভব বলে দাবি করা হয় ওই গবেষণায়।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়