শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১১:৫২, ২ জুন ২০২০

করোনা সঙ্কটেও মে মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স

করোনা সঙ্কটেও মে মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স

করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এখনও অর্থনীতিতে আশার আলো জাগিয়ে রেখেছে। গত পুরো অর্থবছরে যত রেমিট্যান্স এসেছিল, চলতি অর্থবছরের এক মাস বাকি থাকতেই তার প্রায় সমান অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) এক হাজার ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ (১৬ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল এক হাজার ৫০৫ কোটি ১০ লাখ (১৫ দশমিক ০৫ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবে এই সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার বা ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে।

জানা গেছে, গত অর্থবছরের পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) এক হাজার ৬৪২ কোটি (১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। সারাবিশ্বে মহামারীর মধ্যে ঈদ উপলক্ষে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সদ্য সমাপ্ত মে মাসে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ (১ দশমিক ৫ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি বছরই ঈদের আগে রেমিটেন্সে গতি আসে। গত বছরের রোজার ঈদের আগে মে মাসে ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল। এক মাসের হিসাবে যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স।

এবার করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ইতোমধ্যেই সাত লাখের মতো প্রবাসী শ্রমিককে দেশে ফিরতে হয়েছে। যারা রয়েছেন, তাদেরও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে তেমন রেমিট্যান্স আশা করা হচ্ছিল না। মূলত মার্চ থেকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ওলটপালট হয়ে যাওয়া ওই নিরাশার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত মার্চে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম।

পরের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্স আরও কমে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে আসে, তাও গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। কিন্তু মে মাসে চিত্র পাল্টাতে থাকে। প্রথম ১১ দিনে ৫১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, ১৩ মে পর্যন্ত আসে ৬৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ১৪ মে পর্যন্ত আসে ৮০ কোটি ডলার। ১৯ মে তা ১০৯ কোটি ১০ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। ২৮ মে পর্যন্ত আসে ১৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলা। ৩১ মে মাস শেষে সেই রেমিট্যান্স গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলারে।

এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় রফতানি আয় কমার পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশী মুদ্রার ভান্ডার (রিজার্ভ) সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। গতকাল সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। তবে আমদানি তলানিতে নেমে আসায় বিদেশি মুদ্রা খরচ না হওয়ায় রিজার্ভ ভালো অবস্থায় থাকার একটি কারণ বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু