এসএসসির সময় একমাস কোচিং সেন্টার বন্ধ: শিক্ষামন্ত্রী
আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে সব কোচিং সেন্টার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। সেই সাথে প্রশ্ন ফাঁসের কোন গুজব পেলে গুজবকারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। রোববার সচিবালয়ে সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
দিপু মনি বলেন, আমরা জঙ্গি দমন করতে পেরেছি। মাদক দমনেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাই প্রশ্ন ফাঁসও আমরা ঠেকাতে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি বলেন, আগামী এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষা অনুষ্ঠানে বেশকিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। এর মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রশ্ন পাঠাতে বিশেষ ধরনের খাম ব্যবহার করা হবে। যেটা দেখে বোঝা যাবে খামটি এর আগে কখনোই খোলা হয়নি।
তিনি বলেন, পরীক্ষার হলের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে। গুজব রটনাকারীদের সনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে নজরদারি শুরু হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। যারা আগেও এ কাজ করেছে বা প্রশ্নফাঁসে যুক্ত ছিল তাদের ব্যপারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, এবিষয়ে সচেতনতামূলক তথ্যগুলো গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে। পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা ছাড়া কেউ পরিক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধুমাত্র কেন্দ্র সচিব বাটন ফোন ব্যবহার করতে পারেবেন।
দিপু মনি বলেন, এমনকি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই। ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা না করে কোথায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে তা কেউ জানার চেষ্টা করবে না। আমরা ছাত্র-ছাত্রী অভিববাকদের কাছে এই আশা করি। তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অব্যশই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। যদি একান্ত কারও দেরি হয় তাহলে তা কেন্দ্র প্রধানের রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে তা বোর্ডে পাঠাতে হবে। ২০১৮ সালে যেভাবে আমরা সফল হয়েছি সেই একইভাবে এবারও ইনশাল্লাহ আমরা সফল হবো। সকলের সহযোগিতা কামন করাছি।
সিন্ডিকেট ভিত্তিক কেন্দ্র দেওয়া হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যেহেতু গতবছর এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে ভাল পরীক্ষা হয়েছে। ফলে এবার ঢাকা বোর্ডের দৃষ্টি আকর্শন করছি। যেহেতু পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সব দায়িত্ব পালন করে বোর্ড, ফলে এ বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়ের উপর বর্তায় না। এটা বোর্ডকে দেখার অনুরোধ করবো। ফেসবুক কেন্দ্রীক নানা গুজব তৈরি হয় তাই বিটিআরসির প্রতি আপনাদের কোন নির্দেশনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তথ্যমন্ত্রণালয়ের বিশেষ সেল এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে তারা দায়িত্ব পালন করবে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আগে কোন তদন্ত হয়নি এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এই তথ্যটি আমার কাছে নেই। আমি জানলে তা জানাবো।
সভায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল) উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এবারের এসএসসিতে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। তত্ত্বীয় পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ।
দৈনিক গাইবান্ধা