এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুদান
প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন পরিবার। এ অবস্থায় ৩ লাখ টাকার অনুদান নিয়ে এগিয়ে এলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। বিষয়টি ডেইলি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেন মানবতার কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও নাট্যনির্মাতা জি.এম সৈকত।
জি.এম সৈকত বলেন, এন্ড্রু কিশোরকে অনুদানের চিঠি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার আমরা হাতে পেয়েছি। এরপর এন্ড্রু কিশোরের শীষ্য মোমিন বিশ্বাসের হাতে তুলে দিয়েছি। চিঠিটি রাজশাহীর ডিসি বরাবর জমা দিলে সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দেয়া হবে এন্ড্রু কিশোরের বোনের হাতে। এ টাকা বুধবারেই উত্তোলন করতে পারবে তার পরিবার।
মানবতার কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জি.এম সৈকত সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও যুগ্ম সচিব ফায়জুর রহমান ফারুকীসহ আরো যারা এন্ড্রু কিশোরের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, গত সপ্তাহে এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসার জন্য অনুদান চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আবেদন করা হয়েছে।
অসুস্থ অবস্থায় গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন এন্ড্রু কিশোর। এর আগের দিন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ লাখ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন এন্ড্রু কিশোরের হাতে। সিঙ্গাপুর যাওয়ার পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকেই থেমে থেমে তাকে দেয়া হচ্ছে কেমো থেরাপি।
ব্যয়বহুল এ চিকিৎসায় প্রায় দুই কোটি টাকার মতো খরচ হচ্ছে। বাধ্য হয়ে এন্ড্রু কিশোরের পরিবার তার চিকিৎসার জন্য রাজশাহীর ফ্ল্যাটও বিক্রি করেন দেন। তার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
দেশীয় চলচ্চিত্রের গানের বড় অধ্যায়জুড়ে এন্ড্রু কিশোরের নাম লেখা। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে আছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’সহ অসংখ্য গান।
দৈনিক গাইবান্ধা