ইলিশের লাফ দেখে জেলেদের মুখে হাসির ঝিলিক
নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নামতে না নামতেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ডিমওয়ালা ইলিশ। ইলিশের রূপালী রঙে ঝিলিক দিচ্ছে সূর্যের আলো। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত হাঁকডাকে সরগরম হয়ে আছে চাঁদপুরের বড়স্টেশন মাছঘাট। এতে হাসি ফুটেছে চাঁদপুরের জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের মুখে।
শনিবার বড়স্টেশন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থান জেলেরা নৌকা বোঝাই করে ইলিশ নিয়ে আসছে। ট্রলার ও ট্রাকে করে ইলিশ আসছে ভোলা ও বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকেও। ঘাটে আসা অধিকাংশ ইলিশের পেটেই ডিম দেখা গেছে।
একই দৃশ্য দেখা গেছে চাঁদপুর সদরের পুরানবাজার রণগোয়াল, বহরিয়া, ইব্রাহিমপুর, হরিণা ফেরিঘাটেও। ব্যবসায়ী ও জেলেরা জানান, এ বছর পদ্মা-মেঘনায় প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সবাই লাভবান হচ্ছে।
জেলা মৎস্য সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত বলেন, বড় আকারের ইলিশ মণপ্রতি ২৮-৩০ হাজার, মাঝারি ইলিশ মণপ্রতি ২০-২২ হাজার টাকা, ছোট ইলিশ মণপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মা ইলিশের প্রজনন বাড়াতে ৯-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশের নদী ও সমুদ্রে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছিলো সরকার। মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম সফল হয়েছে। এ বছর ৯০ ভাগ ইলিশ ডিম ছাড়তে পেড়েছে। আগামীতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরো পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মৎস্যবিজ্ঞানী ড. মো. আনিসুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে মা ইলিশ প্রচুর পরিমাণে ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে। ইলিশের পেটে সারা বছরই ডিম থাকে। মা ইলিশ যে পরিমাণ ডিম ছেড়েছে তা জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের সময় বাঁচিয়ে রাখলে আগামী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন আরো বাড়বে।
দৈনিক গাইবান্ধা