মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ || ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:২৯, ২৩ আগস্ট ২০২০

আশুরার দিনের উল্লেখযোগ্য দুই ঘটনা

আশুরার দিনের উল্লেখযোগ্য দুই ঘটনা

মুহাররম ও আশুরা। পবিত্র কোরআনে ও হাদিস শরিফে এ মাস সম্পর্কে যা এসেছে তা হলো, এটা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ সময়। এই দিনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের ইসলাম ধর্মের অনেক ইতিহাস। আশুরার দিনে বড় দুটি ঘটনা ঘটে ছিলো।

এক. যখন মিশরের বাদশাহ ফেরাউন নিজেকে নিজে খোদা দাবি এবং মিশরের নিরহ মানুষের ওপর জুলুম করতে লাগলো, তখন আল্লাহ তায়ালা হজরত মুসা (আ.)-কে পাঠালেন ফেরাউনকে ভয় ও সতর্ক করার  জন্য এবং বনী ইসরাইদেরকে তার কবল থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য।

হজরত মুসা (আ.) এবং তার ভাই হজরত হারুন (আ.) ফেরাউনকে সঠিক রাস্তায় আনার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন, এমনকি তাকে অনেক ধরণের মোজেজা দেখিয়েছেন, তবুও ফেরাউন নিজের খোদায় থেকে ফিরে আসে নাই।  আরো নবী মুসা (আ.) ওপর জুলুম নির্যাতন শুরু করে, তখন  হজরত মুসা (আ.) তার কওম বনী ইসরাইলদের নিয়ে নীল নদ পার হয়ে গেলেন। আর ফেরাউন তার সৈন্য নিয়ে নবী  মুসা (আ.) এর পেছনে ধাওয়া করলে নীল নদে ডুবে মারা যায়।

ফেরাউনের লাশ এখনো মিশরে হেফাজতে আছে, যাতে পরবর্তী মানুষ তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। যেই দিন হজরত মুসা (আ.) ও বনী ইসরাইল নীল নদ পার হয়ে নাজাত পেয়ে যান এবং নিজ খোদা দাবিদার ফেরাউন তার সৈন্য নিয়ে দরীয়ায় ডুবে মারা যায়। সে দিনটি এই দশে মুহাররমই ছিলো।

রাসূল (সা.) মদিনা হিজরত করেন, তখন দেখেন মদিনার ইহুদিরা রোজা রাখে, রোজার কারণ জিজ্ঞাসা করলে, তারা উত্তর বলে এই দিনে আল্লাহ তায়ালা হজরত মুসা (আ.)-কে ফেরাউনের ওপর বিজয়ী দান করেছেন, তাই আমরা শুকরিয়া স্বরূপ রোজা রাখি। তখন রাসূল (সা.) বললেন, তোমাদের থেকে আমরা হজরত মুসা (আ.) এর বেশি হকদার। এরপর থেকে রাসূল (সা.) মুসলমানদেরকে আশুরার রোজা রাখার নির্দেশ দেন এবং মুসলমানরা আশুরার রোজা রাখেন। 

যেমনিভাবে ইহুদিদের মধ্যে আশুরার রোজা রাখার নিয়ম ছিলো, তেমনি জাহেলি যুগে কুরাইশরা রোজা রাখতো, কিন্তু কুরাইশদের রোজা রাখার কারণ ছিলো, ওই দিনে কাবার ওপর গিলাফ চড়ানো হয়। এমনকি আশুরার দিনে রাসূল (সা.) এবং সাহাবা কেরামরাও রোজা রাখতেন যখন রমজানের রোজা ফরজ ছিলো না। 

দুই. এই মহররমের দশ তারিখে হজরত ইমাম হুসাইন (রা.) কারবালার ময়দানে হকের পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেন।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়